Friday 26th of April 2024
Home / সংগঠন ও কর্পোরেট সংবাদ / প্রস্তাবিত বাজেট কৃষির উন্নয়নে যুগান্তকারী, সময়পোযোগী ও বাস্তবসম্মত -কেআইবি

প্রস্তাবিত বাজেট কৃষির উন্নয়নে যুগান্তকারী, সময়পোযোগী ও বাস্তবসম্মত -কেআইবি

Published at জুন ১৪, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কে আই বি)-এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, কৃষিবিদ প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া এবং মহাসচিব কৃষিবিদ মো. খায়রুল আলম (প্রিন্স)সহ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ আজ এক বিবৃতিতে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটকে বাংলাদেশের কৃষির সামগ্রিক উন্নয়নে যুগান্তকারী, সময়পোযোগী ও বাস্তবসম্মত বাজেট হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে  আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন।

বাংলাদেশের ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে এ দেশের কৃষি ও কৃষকের স্বার্থ বিবেচনায় রেখে কৃষিখাতে ২৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যা মোট বাজেটের ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। এবারের বাজেটে কৃষি খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে ২ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা। করোনাকালীন সময়ে কৃষি যখন বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে তখন বাংলাদেশের কৃষকসহ আপামর জনগোষ্ঠির খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রণীত বাজেটটি যুগোপযোগি এবং যথার্থ হয়েছে বলে কেআইবি নেতৃবৃন্দ মনে করেন।

মাননীয় অর্থমন্ত্রী কৃষিকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার খাত হিসেবে বিবেচনা করায় করোনার সময়কালে কৃষি খাতে ভর্তুকি, সার, বীজসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ, প্রণোদনা ও সহায়তা কার্ড, কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা, স্বল্প সুদ ও সহজ শর্তে বিশেষ কৃষিঋণ সুবিধা প্রদান করা সম্বব হবে। প্রস্তাবিত বাজেটে সার, বীজ, কীটনাশক আমদানীতে শুন্য শুল্ক অব্যাহত রাখা হয়েছে। সেইসাথে কৃষি উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির বিভিন্ন যন্ত্রাংশের আমদানী শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই বাজেটে ফসল খাতের পাশাপাশি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উৎপাদন এবং উন্নয়নের জন্য উৎপাদন উপকরণের শুল্ক হ্রাস, ক্ষেত্র বিশেষে শুণ্য শুল্ক আরোপের প্রস্তাব কৃষির সকল উপখাতের সুষম বিকাশে ব্যাপক ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করছে।

বর্তমান বাজেটে কৃষি খাতে ভর্তুকির পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা বাড়িয়ে ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। তাছাড়া কৃষি খামার যান্ত্রিকীকরণের জন্য ৩ হাজার ১৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কৃষকের ধান-চালের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি ও বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে ২০২০-২১ অর্থবছরে ধান-চালের সরকারি সংগ্রহ ও বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা আরো ২ লাখ টন বাড়ানো হয়েছে। কৃষকের ঋণ প্রাপ্তি সহজ করার লক্ষ্যে ৫ হাজার কোটি টাকার একটি কৃষি রিফাইন্যান্স স্কিম গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া এসএমই সহ কৃষির উন্নয়নে ২ হাজার কোটি টাকার রিফাইন্যান্স স্কিম সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।

যথাসময়ে অর্থ প্রাপ্তি নিশ্চিত করা গেলে এবং কৃষি উৎপাদন কার্যক্রম সফল বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে দেশে খাদ্য ও পুষ্টির যোগান অব্যাহত থাকবে বলে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ-এর নেতৃবৃন্দ মনে করেন।

This post has already been read 2224 times!