Saturday 27th of April 2024
Home / সংগঠন ও কর্পোরেট সংবাদ / জেএফ এগ্রো ও কালাশ সিডসের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

জেএফ এগ্রো ও কালাশ সিডসের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

Published at সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩

ভারতের অন্যতম বৃহৎ বহুজাতিক বীজ প্রতিষ্ঠান কালাশ সিডস প্রাইভেট লিমিটেডের উন্নত ও হাইব্রিড ফসল বীজের ব্র্যান্ড বাজারজাত করবে দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান জেএফএগ্রো প্রাইভেট লিমিটেড।  বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজারের এক অভিজাত রিসোর্টে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

কালাশ সিডসের ভাইস প্রেসিডেন্ট এন্ড গ্লোবাল বিজনেস হেড চিরাগ ভাট এবং জেএফএগ্রো প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জুয়েল প্রতিষ্ঠান দুটির পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। সেসময়, কালাশ সিডসের বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার কান্ট্রি ম্যানেজার কৃষিবিদ মো. আবুল হাসনাত, ইন্টারন্যাশনাল ম্যানেজার নিলেশ ওয়াগ, জেএফএগ্রো প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন, জেনারেল ম্যনেজার মো. রেজাউল করিম ও অপারেশন ম্যানেজার কাজি শরিয়ত সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও জেএফএগ্রো প্রাইভেট লিমিটেডের বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বীজ পরিবেশকগন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। উন্নত ও হাইব্রিড জাতসমূহের বিভিন্ন গুনাগুন ও রোগ-পোকামাকড়ের প্রতি সহনশীলতা সম্পর্কীয় প্রশিক্ষণেও অংশ নেন এবং মতবিনিময় করেন তারা। পরিবেশকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেএফএগ্রো এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জুয়েল কালাশ ব্র্যান্ডের বীজসমূহ দ্রুত সময়ের মধ্যে আমদানি করে বাজারে সরবরাহের আশা ব্যক্ত করেন।

কালাশ সিডসের ভাইস প্রেসিডেন্ট এন্ড গ্লোবাল বিজনেস হেড চিরাগ ভাট বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতার ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ, ভারত ও উপমহাদেশের অন্যান্য দেশগুলোতে প্রতিবছরই প্রতিকূল অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। যা কৃষি উৎপাদনের জন্য সরাসরি হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এমতাবস্থায় কৃষি ও পরিবেশ বিজ্ঞানীগণ পরিবেশ প্রতিকূলতার মধ্যে সহনশীল জাতসমূহ চাষের জন্য বার বার কৃষকদের অবহিত করছেন। তিনি আরও বলেন, কালাশ সিডস ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও প্রতিকূল পরিবেশের জন্য সহনশীল জাতসমূহ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। ব্যবহার করা হচ্ছে ডাবল হ্যাপ্লয়েড টেকনোলজি, CRISPR CAS নামক আধুনিক জাত উন্নয়ন পদ্ধতি। প্রতি বছরই নতুন নতুন হাইব্রিড জাত রিলিজ হচ্ছে। চিরাগ ভাট আশা করেন, কালাশের বীজ ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষকরা অনেকাংশেই প্রতিকূল পরিবেশের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবেন।

This post has already been read 4985 times!