Friday 26th of April 2024
Home / সংগঠন ও কর্পোরেট সংবাদ / দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এলিয়া ফিডস এখন ভারতে

দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এলিয়া ফিডস এখন ভারতে

Published at সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার ৩০ থেকে ৩৫  শতাংশ মানুষ অপুষ্টিতে ভূগছে। ডিম, দুধ, মাছ ও মাংসই দেশের নারী ও শিশু সহ সকলের অপুষ্টিতা দূরীকরনের একমাত্র উপায় বলে পুষ্টিবিদগণ মনে করে থাকেন। সেক্ষেত্রে এলিয়া ফিডস লি. তার উৎপাদিত ফিডস সরবরাহ অব্যাহত রেখে জাতীয় স্বাস্থ্য খাতে অবদান রাখছে।

এরই ধারাবাহিকতায় শুধু গুনগত মানের কারণেইই এলিয়া ফিডস লি. (বাণিজ্যিক ব্র্যান্ড নাম -এ্যাংকর ফিড) দেশের সীমানা পেরিয়ে পার্শ্ববতী দেশ ভারতেও জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে ভারতের প্রসিদ্ধ ও প্রথিতযশা কানোপ (KANUP) কোম্পানী ও বাংলাদেশের এলিয়া ফিডস লিঃ এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে তিনশত (৩০০) টন ফিড রপ্তানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির অনুবৃত্তিক্রমে গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রথম চালানের মাধ্যমে বাংলাদেশের আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় পয়ত্রিশ (৩৫) টন পোল্ট্রি ফিডস এবং পনের (১৫) ফিস ফিড মোট পঞ্চাশ (৫০) টন ফিড রপ্তানি করা হয়েছে।

মোট পঞ্চাশ টন পোলট্রি ও ফিস ফিড রপ্তানির আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার মনসুর হোসেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলিয়া ফিডস এর ম্যানেজার (পকিউরমেন্ট) মো. আমিনুর ইসলাম ভূইয়া, এজিএম (কমার্শিয়াল) শফি কামাল মামুন, এবং এলিয়া ফুড এন্ড বেভারেজ লি. এর হেড অব বিজনেস অর্নব দত্ত রয়।

এ সম্পর্কে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার মনসুর হোসেন বলেন, এলিয়া ফিডস লি. প্রায় এক যুগ ধরে মানবদেহের শক্তির ১০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরনের লক্ষ্যে পোল্ট্রি, ফিস ও ক্যাটেল ফিডস উৎপাদন করে যাচ্ছে। আর্থ সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে মানসম্পন্ন ফিডসের উৎপাদনের ক্ষেত্রে এলিয়া ফিডস অগ্রনি ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল সহ প্রায় সকল জেলাতেই খামারীদের চাহিদামতে উক্ত ফিডস ব্যবহৃত হচ্ছে যা অর্থনীতি ও জনস্বার্থের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

তিনি বলেন, সবার জন্য নিরাপদ ও মানসম্মত খাদ্যের চাহিদা পূরনের লক্ষ্যে “প্রোটিন ফর অল” কমসূচী বাস্তবায়নে এলিয়া ফিডস লি. সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এ সময় কোম্পানির পক্ষ থেকে সংশিষ্ট মন্ত্রানালয়, ফিড শিল্প মালিক ও শুভানুধ্যায়ীদের নিকট সহযোগিতা চান খন্দকার মনসুর হোসেন।

This post has already been read 3479 times!