Sunday 5th of May 2024
Home / আঞ্চলিক কৃষি / বগুড়ায় আমন ধানের ফলন বৃদ্ধিতে করনীয় শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বগুড়ায় আমন ধানের ফলন বৃদ্ধিতে করনীয় শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

Published at জুলাই ১৬, ২০২৩

মো. আব্দুল্লাহ-হিল-কাফি (পাবনা) : বগুড়ায় আমন ধানের ফলন বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আঞ্চলিক কার্যালয় সিরাজগঞ্জ এর আয়োজনে শনিবার (১৫ জুলাই) জেলার পর্যটন মোটেলে উক্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

বিএডিসি’র চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ সাজ্জাদ, এনডিসি কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীরের  সভাপতিত্বে এই  কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সরেজমিন উইং এর পরিচালক কৃষিবিদ তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, বিএডিসি’র সদস্য পরিচালক কৃষিবিদ মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (গবেষণা) ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সরকার শফিউদ্দিন আহমদ।

কর্মশালায় আমন ধানের ফলন বৃদ্ধিতে করণীয় বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের এর উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রধান ও সিএসও ড. খোন্দকার মো: ইফতেখারুদ্দৌলা এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. মো: আব্দুল লতিফ।

আমন শব্দটির উৎপত্তি আরবি শব্দ ‘আমান’ থেকে যার অর্থ আমানত। অর্থাৎ আমন কৃষকের কাছে একটি নিশ্চিত ফসল আমানত হিসেবে পরিচিত ছিল। আবহমান কাল থেকে এ ধানেই কৃষকের গোলা ভরে, যা দিয়ে কৃষক তার পরিবারের ভরণ-পোষণ, পিঠাপুলি, আতিথেয়তাসহ সংসারের অন্যান্য খরচ মিটিয়ে থাকে। নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও প্রতিবছর আমনের উৎপাদন বাড়ছে এবং গত বছর আমনের উৎপাদন ১.৫ কোটি টনের বেশি পৌঁছায়। এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে নতুন নতুন উদ্ভাবিত জাত, আধুনিক ব্যবস্থাপনা ও সরকারের সঠিক নীতি কৌশল। এ বছর বোরো উৎপাদনের পর আউশ এবং আমনের উপর সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। দেশে যেন দুর্ভিক্ষের মতো কোনো অবস্থা সৃষ্টি না হয়, মানুষ যেন খাদ্য কষ্টে না ভোগে, সেজন্যই এসব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মূলত আমন মৌসুমে স্বল্প মেয়াদি জাত সময়মতো চাষ করলে বোরো ধান লাগানোর পূর্বেই মূল্যবান সরিষা চাষ করা সম্ভব।

কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও জয়পুরহাট জেলা/উপজেলার কর্মকর্তা, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, বীজ ও সার ডিলার, মিলার ও কৃষক প্রতিনিধিসহ প্রায় ৩’শ জন অংশগ্রহণ করেন।

This post has already been read 914 times!