Saturday 27th of April 2024
Home / আঞ্চলিক কৃষি / রাজশাহীতে মাটির অম্লীয় মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনা শীর্ষক দিনব্যাপি সেমিনার-২০২৪

রাজশাহীতে মাটির অম্লীয় মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনা শীর্ষক দিনব্যাপি সেমিনার-২০২৪

Published at মার্চ ১১, ২০২৪

মো. আমিনুল ইসলাম (রাজশাহী): রবিবার (১০ই মার্চ) উপপরিচালকের কার্যালয়, ডিএই, রাজশাহীর সম্মেলন কক্ষে “অম্লীয় মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক সেমিনার মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, বিভাগীয় কার্যালয়, রাজশাহী এর আয়োজনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, ঢাকা এর মহাপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, ফিল্ড সার্ভিসেস উইং এর  পরিচালক ড. বেগম সামিয়া সুলতানা, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের অ্যানালাইটিক্যাল সার্ভিসেস উইংয়ের পরিচালক ড. মো. আব্দুর রউফ এবং  কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহীর উপপরিচালক মো. মোজদার হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, বিভাগীয় কার্যালয়, রাজশাহীর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আ,ফ,ম, মনজুরুল হক।

প্রথমে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, বিভাগীয় কার্যালয়, রাজশাহীর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. নূরুল ইসলাম।

সম্মানিত অতিথি বৃন্দ তাঁদের বক্তব্যে বলেন, সম্প্রতি নতুন নতুন তথ্য প্রযুক্তি কৃষিতে পরিবর্তনসহ বিভিন্ন পরিবর্তন আনয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছে । এগুলোর প্রসার ও উন্নয়নে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। কৃষকের চাহিদা মাফিক, সঠিক সময়োপযোগী ও আধুনিক তথ্য, গ্রামীণ জনগোষ্ঠির জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং কৃষকের ভাগ্যোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।  তাঁরা আরো বলেন, দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে গিয়ে শস্যের নিবিড়তা বাড়ছে ঠিকই, কিন্তু দিনদিন মাটির উৎপাদনশীলতা ও উর্বরতা শক্তি কমে যাচ্ছে। ফসল উৎপাদনের জন্য ভালো বীজ ও উত্তম ব্যবস্থাপনা যেমন প্রয়োজন তেমনি মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষারও বিকল্প নেই । উপযুক্ত মাটি না হলে অর্থাৎ ফসলের প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান সমৃদ্ধ মাটি না হলে দীর্ঘমেয়াদে কাঙ্খিত উৎপাদন টিকিয়ে রাখা অসম্ভব । কাজেই ‘এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উত্তম মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনার কোনো বিকল্প নেই।

সেমিনারে জেলা ও উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, অম্লীয় মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনা কাজে জড়িত বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, কৃষি তথ্য সার্ভিস, গণমাধ্যমকর্মী ও মাঠ পর্যায়ের কৃষকবৃন্দ অংশ গ্রহন করেন।

This post has already been read 2862 times!