Saturday 27th of April 2024
Home / আঞ্চলিক কৃষি / চরাঞ্চলের কৃষিকে আধুনিক প্রযুক্তির আওতায় আনলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে – স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

চরাঞ্চলের কৃষিকে আধুনিক প্রযুক্তির আওতায় আনলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে – স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

Published at মার্চ ১৩, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশে ৮,৩১৫ বর্গমিটার চরভূমিতে বসবাসকারী নাগরিকের সংখ্যা ৮০ লক্ষ্যর বেশি। পলিমাটি সঞ্চিত চরের এই বিশাল জমিতে বিভিন্ন ফসল এবং প্রাণিসম্পদের ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির আওতায় আনা গেলে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা অনেকাংশে নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। দেশের মূল ভূখণ্ড আর বৃদ্ধি পাবার সুযোগ নেই কিন্তু চরাঞ্চলে আমাদের ভূখণ্ড দিন দিন বাড়ছে। তাই চরাঞ্চলের জীবনমান উন্নয়ন এবং সেখানকার কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হলে আমাদেরকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে।

তিনি বুধবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে “চরাঞ্চলের টেকসই অবকাঠামো. বর্তমান প্রেক্ষিত, প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরণের পথ” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বিরূপ জলবায়ু অভিঘাতের প্রাথমিক ধাক্কা প্রথমেই চরাঞ্চলের উপর আসে বলে চরে অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে আরো গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। সঠিক জরিপ ও গবেষণার মাধ্যমে চর উপযোগী অবকাঠামো স্থাপন করতে হবে।

মন্ত্রী এ সময় চরে উৎপাদিত বিভিন্ন কৃষি পণ্যের জন্য সুষ্ঠুভাবে বিপনন ব্যবস্থা শক্তিশালী করার উপরও গুরুত্ব আরোপ করেন। দেশে এবং বিদেশে অর্গানিক সবজির প্রচুর চাহিদা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চরে বিভিন্ন রকমের অর্গানিক সবজি এবং ফসল চাষের সম্ভাবনা আমাদেরকে কাজে লাগাতে হবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, চরের উন্নয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের সামস্টিক অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ জড়িত। তাই চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে তা দেশের কৃষিক্ষেত্রসহ অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে।

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের দেশ আজ উন্নতির নতুন দিগন্তে পৌঁছেছে। বিশেষ করে, চরাঞ্চলের উন্নয়নে আমাদের সরকারের নানা উদ্যোগ এবং প্রকল্প চরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অবদান রাখছে। এ সকল উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, চরে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে যোগাযোগের অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে মার্কেট লিংকেজ স্থাপন করতে হবে। এই প্রেক্ষাপটে আজকের এই সেমিনারে আপনাদের মতামত ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল ওয়াদুদ। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এমফোরসি প্রকল্পের টিম লিডার আব্দুল আওয়াল, এমফোরসি প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. আব্দুল মাজিদ প্রমানিক সূচনা বক্তব্য দেন, জাতীয় চর অ্যালায়েন্স ও উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

This post has already been read 382 times!