Friday 26th of April 2024
Home / আঞ্চলিক কৃষি / শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন ডিএই বরিশালের অতিরিক্ত পরিচালক

শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন ডিএই বরিশালের অতিরিক্ত পরিচালক

Published at জুলাই ৮, ২০২০

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল) : কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই)শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আফতাব উদ্দিন।কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে রাষ্ট্রীয় এ সম্মাননা দেওয়া হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ে ৬৪ জেলার কর্মকর্তাদের মধ্যে তিনি এ পুরস্কার পান। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বরিশাল অঞ্চলের পক্ষ হতে তাঁকে শুভেচ্ছাস্মারক প্রদান করা হয়।

১৯৬২ খ্রিস্টাব্দের ২৮ জুন ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার ছোনাউটা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। চাকুরি জীবনে তিনি ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দের ০১ এপ্রিল সপ্তম বিসিএস’র মাধ্যমে বিষয় বস্তু কর্মকর্তা (এসএমও) হিসেবে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় যোগদান করেন।পরবর্তীতে বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।এর আগে জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার হিসেবে পিরোজপুর এবং বরগুনায় কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি ডিএই বরিশাল অঞ্চলের শীর্ষ কর্মকর্তার (যুগ্ম সচিব সমমান) দায়িত্ব পালন করছেন।

উল্লেখ্য, ‘সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়: জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল’ শিরোনামে সরকারের মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা রাষ্ট্রীয় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পুরস্কার প্রদানের উদ্দেশ্যে ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে শুদ্ধাচার পুরস্কার নীতিমালা প্রণয়ন করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। গেজেটে এ পুরস্কারের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ‘প্রতিবছর সরকারের শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্তরা পুরস্কার হিসেবে একটি সনদ এবং এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ পাবেন।’ পুরস্কারে নির্বাচিতদের জন্য ১৮টি গুণাবলি থাকতে হবে। এগুলো হলো: নিজের পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা থাকা, কর্মস্থলে সততার নিদর্শন স্থাপন করা, নির্ভরযোগ্যতা ও কর্তব্যনিষ্ঠা, শৃঙ্খলাবোধ, সহকর্মীদের সঙ্গে শুভ আচরণ, সেবাগ্রহীতার সঙ্গে শুভ আচরণ, প্রতিষ্ঠানের বিধিবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা, সমন্বয় ও নেতৃত্বদানের ক্ষমতা, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শিতা, পেশাগত স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক নিরাপত্তা সচেতনতা, ছুটি গ্রহণের প্রবণতা, উদ্ভাবনী চর্চার সক্ষমতা, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে তৎপরতা, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার, স্বপ্র্রণোদিত তথ্য প্রকাশে আগ্রহ, উপস্থাপন দক্ষতা, ই-ফাইল ব্যবহারে আগ্রহ এবং অভিযোগ প্রতিকারে সহযোগিতা করা।

This post has already been read 2553 times!