
নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ৮-১০ জানুয়ারি ঢাকার বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিত হবে প্রাণীস্বাস্থ্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের সর্ববৃহৎ আয়োজন ৬ষ্ঠ আহকাব আন্তর্জাতিক মেলা-২০২৬। “সুস্থ প্রাণী, সমৃদ্ধ জাতি” স্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত এ মেলা দেশের নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, টেকসই প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন এবং জাতীয় অর্থনীতিতে প্রাণিজ খাতের অবদানকে আরও শক্তিশালী করবে বলে আয়োজক সূত্র জানিয়েছে।
আজ সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানে হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আহকাবের সভাপতি সায়েম উল হক এবং মহাসচিব মো. আনোয়ার হোসেন ছাড়াও কোষাধ্যক্ষ ডা. মো. মোজাম্মেল হক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ রাশেদুল জাকির সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে আহকাব নেতৃবৃন্দ জানান, এবারের তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক এ মেলায় নীতিনির্ধারক, উদ্যোক্তা, প্রাণিচিকিৎসক, গবেষক, খামারি ও বিনিয়োগকারীরা অংশ নেবেন। তাঁরা প্রাণিস্বাস্থ্য সুরক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা এবং টেকসই গ্রামীণ অর্থনীতি গঠনে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে একত্রিত হবেন।
মেলায় শীর্ষস্থানীয় স্থানীয় ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলো প্রদর্শন করবে অত্যাধুনিক ভ্যাকসিন, ওষুধ, ফিড এডিটিভস, মিনারেলস, ডায়াগনস্টিকস এবং উদ্ভাবনী প্রযুক্তি। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণে আলোচনায় গুরুত্ব পাবে প্রাণিস্বাস্থ্য, টেকসই চাষপদ্ধতি ও বৈশ্বিক বাণিজ্যের সুযোগ। অংশগ্রহণকারীদের জন্য তৈরি হবে এক অভূতপূর্ব নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কৃষক থেকে শুরু করে বৈশ্বিক বিনিয়োগকারী পর্যন্ত প্রত্যেকে আন্তঃসংযোগ স্থাপনের সুযোগ পাবেন।
আহকাব সভাপতি সায়েম উল হক বলেন, “৬ষ্ঠ আহকাব আন্তর্জাতিক মেলা-২০২৬ বাংলাদেশের প্রাণিস্বাস্থ্য খাতের জন্য একটি মাইলফলক ইভেন্ট। বৈশ্বিক উদ্ভাবনের সঙ্গে স্থানীয় দক্ষতার সমন্বয়ে আমরা এমন একটি প্রতিযোগিতামূলক ও টেকসই ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে চাই যা কৃষকদের সহায়তা করবে, নিরাপদ আমিষের যোগান নিশ্চিত করবে এবং জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
অন্যদিকে মহাসচিব মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “এই আয়োজন কেবল একটি প্রদর্শনী নয়, বরং নীতিনির্ধারক, উদ্যোক্তা ও খামারিদের জন্য এমন এক প্ল্যাটফর্ম যেখানে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে শিল্পখাতের সমস্যা সমাধান ও নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করা সম্ভব হবে। সরকারের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় ঘটিয়ে আমরা প্রাণিজ খাতে বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধিকে আরও গতিশীল করতে চাই।”
এবারের প্রদর্শনীতে থাকছে ৬২২টি স্টল একত্রে এক ছাদের নিচে, নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক নামাজের জায়গা, দর্শনার্থীদের জন্য খাবারের বিশেষ আয়োজন এবং সেশন ও মিটিংয়ের আলাদা সুবিধা। আহকাব আশা করছে, এই মেলা দেশের প্রাণিজ খাতে বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।