
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিআইএ)-এর নবনির্বাচিত সভাপতি মো. মোশারফ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, খামারীদের কণ্ঠস্বরই হবে তাঁর কাজের মূল প্রেরণা এবং নেতৃত্বের সবচেয়ে শক্ত ভিত্তি।
দায়িত্ব গ্রহণের পর এক প্রতিক্রিয়ায় এগ্রিনিউজ২৪.কম কে তিনি বলেন, বিপিআইএ সভাপতির দায়িত্ব তাঁর কাছে কোনো আনুষ্ঠানিক পদ নয়; বরং এটি পোল্ট্রি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত লাখো খামারি, উদ্যোক্তা ও শ্রমজীবী মানুষের প্রত্যাশা পূরণের একটি বড় দায়িত্ব। যারা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় আমিষ ডিম ও মুরগী উৎপাদনে যুক্ত থাকেন, আবার একইসঙ্গে লোকসানের ভয় মাথায় নিয়ে খামার টিকিয়ে রাখেন—তাদের কথা শোনা এবং বাস্তব সমাধানে পৌঁছানোই আমার নেতৃত্বের লক্ষ্য, বলেন তিনি।
মোশারফ হোসেন চৌধুরী বলেন, বর্তমান সময়ে পোল্ট্রি খাত সবচেয়ে বেশি চাপে রয়েছে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি, ডিম ও মুরগীর অস্থির বাজার এবং নীতিগত অনিশ্চয়তার কারণে। এসব সংকট সরাসরি খামারিদের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলছে। খামারি টিকলে তবেই শিল্প টিকবে—এই বাস্তবতাকে সামনে রেখেই বিপিআইএর প্রতিটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, সরকারের সঙ্গে বিপিআইএর সম্পর্ক হবে গঠনমূলক ও দায়িত্বশীল। তবে খামারিদের ন্যায্য স্বার্থ রক্ষায় কোনো বিষয়ে আপোস করা হবে না। প্রয়োজনে যৌক্তিক দাবি নিয়ে দৃঢ় অবস্থান নেওয়াও আমাদের দায়িত্ব, বলেন নবনির্বাচিত সভাপতি।
সংগঠনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, তাঁর নেতৃত্বে বিপিআইএ হবে একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও খামারিবান্ধব সংগঠন। এখানে ছোট, মাঝারি ও বড় সব খামারির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। বিভাজন নয়, ঐক্যের মধ্য দিয়েই পোল্ট্রি শিল্পকে সংকট থেকে সম্ভাবনার পথে নিয়ে যেতে চাই, যোগ করেন তিনি।
শেষে মোশারফ হোসেন চৌধুরী বলেন, পোল্ট্রি শিল্প শুধু একটি বাণিজ্যিক খাত নয়; এটি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, গ্রামীণ কর্মসংস্থান ও অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। খামারীদের কণ্ঠস্বরকে শক্তিশালী করাই আমার নেতৃত্বের মূল অঙ্গীকার।



