Friday 26th of April 2024
Home / অর্থ-শিল্প-বাণিজ্য / বেনাপোল বন্দরে আমদানি জটিলতায় প্রাণিজ খাত

বেনাপোল বন্দরে আমদানি জটিলতায় প্রাণিজ খাত

Published at মে ৭, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি নির্দেশনা থাকা সত্বেও আমদানি জটিলতায় পড়েছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রাণিজ খাতের কাঁচামাল আমদানিকারকেরা। সূত্রমতে, বাংলাদেশ অংশ থেকে শুধুমাত্র দ্রুত পঁচনশীল ও জরুরি পণ্য সামগ্রী ছাড়করনের নির্দেশনা দেয়াতে পেট্রোপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ অন্যান্য পণ্যসমূহ ছাড় করছেননা। এতে করে দেশের ফিডমিলগুলোতে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশংকা করছেন সংশ্লিষ্ট খাতের উদ্যোক্তাগণ।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে করোনা পরিস্থিতিতে লক ডাউনের পর থেকে এখনা পর্যন্ত উল্লেখিত কোন পণ্য তারা বন্দর দিয়ে খালাস করতে পারেননি প্রাণিজ কাঁচামাল আমদানিকারকেরা। ফলে শত শত ট্রাক আটকে রয়েছে।

উদ্ভূত সমস্যা নিরসনে প্রয়োজনীয় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে এনিমেল হেলথ কোম্পানিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আহ্কাব) এর পক্ষ থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বরাবর বৃহস্পতিবার (৭ মে) একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। আহ্কাব সভাপতি ডা. এম নজরুল ইসলাম ও মহাসচিব ডা. মো. কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত উক্ত চিঠিতে জানানো হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক খাদ্য, ঔষধ, কৃষি ও প্রাণিজ উপকরণ, আমদানমুখী পণ্যসহ কতিপয় পণ্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খালাস ও পরিবহনের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ অংশ থেকে শুধুমাত্র দ্রুত পঁচনশীল ও জরুরি পণ্য সামগ্রী ছাড়করনের নির্দেশনা দেয়াতে পেট্রোপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ অন্যান্য পণ্যসমূহ ছাড় করছেননা। এতে প্রাণিজ খাতের পণ্যসমূহ আমদানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

এ সম্পর্কে প্রাণিজ খাতের পণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সিগমা-বাংলাদেশ এর প্রধান নির্বাহী মো. আনোয়ার হোসেন এগ্রিনিউজ২৪.কম কে বলেন, লকডাউনের পর থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমরা কোন পণ্য খালাস করতে পারছিনা। এরফলে আমরা যেমন বিপাকে পড়েছি তেমনি ফিডমিলগুলোতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ উভয় পক্ষ থেকেই পোলট্রি এবং প্রাণিজ খাতের কাঁচামাল জরুরি পণ্য হিসেবে পরিগণিত করে সেগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খালাস করার নির্দেশনা থাকা সত্বেও এসব খাতের কাঁচামাল বোঝাই শত শত ট্রাক আটকে রয়েছে বেনাপোল বন্দরে। এগুলো দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা না নিলে কোটি কোটি টাকার পণ্য পচে নস্ট হয়ে যাবে কিংবা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাবে। এতে করে দেশের ফিডমিলগুলো খুব শীঘ্রই উৎপাদন জটিলতায় পড়বে।

This post has already been read 2313 times!