মো. জুলফিকার আলী (সিলেট) : “নিরাপদ ফসল উৎপাদনে জৈব সার, জীবাণু সার ও জৈব বালাইনাশক ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ভেজাল সার, বীজ ও কীটনাশক বিক্রয় করা যাবে না। মানুষের জীবন বিপন্ন হয়—এমন কোনো কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে।”
হবিগঞ্জে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারণ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জাকির হোসেন। আজ (২৩ আগস্ট) অধিদপ্তরের উপপরিচালকের কার্যালয়ের হলরুমে জেলার বিসিআইসি, বিএডিসি ও পেস্টিসাইড ডিলার এবং নার্সারির মালিকদের সঙ্গে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নার্সারি মালিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আগ্রাসী প্রজাতির ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা ও বীজ রোপণ করা যাবে না। অনাবাদি পতিত জমিতে ফলজ, বনজ, ঔষধি ও বাঁশজাতীয় গাছের চারা রোপণ করতে হবে। এতে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা পাবে। তিনি আরও বলেন, সিলেট অঞ্চলে চলমান প্রকল্পসমূহ সঠিকভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে এবং ফসল উৎপাদনে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে হবে।
হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ২৩ আগস্ট ২০২৫ তারিখে উপপরিচালকের কার্যালয়ের হলরুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন হবিগঞ্জ জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. আকতারুজ্জামান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. মোশাররফ হোসেন এবং আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মো. রকিব উদ্দিন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র মনিটরিং অফিসার কৃষিবিদ মো. আব্দুল মান্নান, সিলেট অঞ্চলের পার্টনার প্রোগ্রামের সিনিয়র মনিটরিং অফিসার কৃষিবিদ মো. নাসির উদ্দিন, ফ্রিপ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. এম. এম. আব্দুর রাজ্জাক এবং সিলেট কৃষি তথ্য সার্ভিসের আঞ্চলিক বেতার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফাহমিদা আক্তার।
সভায় হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিসিআইসি, বিএডিসি ও পেস্টিসাইড ডিলার এবং নার্সারি মালিকসহ প্রায় ৬০ জন অংশগ্রহণ করেন।