
নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষ্যে সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার আটঘরে কিষাণীদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং সারাবাংলা কৃষক সোসাইটির উদ্যোগে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশালের আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার শেখ হাবিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন নেছারাবাদের উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মনিকা আক্তার, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা হাসান রকি এবং কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আন্দাকুল-জিন্দাকাঠি মিশ্র ফল ও সবজি উৎপাদক সমবায় সমিতি সভাপতি বর্ণালী শিকদার। সারাবাংলা কৃষক সোসাইটির অ্যাক্সেস প্রকল্পের আঞ্চলিক প্রকল্প সমন্বয়কারী এসএম রঞ্জুর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সারাবাংলা কৃষক সোসাইটি সভানেত্রী রিতা ব্রহ্ম, আটঘর মিশ্র ফল ও সবজি উৎপাদক সমবায় সমিতি সভাপতি বর্ণালী মন্ডল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, কৃষির অংশগ্রহণে নারীর ক্ষমতায়ন বাড়বে। এজন্য শস্যউৎপাদনে দরকার পূর্বপরিকল্পনা গ্রহণ এবং আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার। আর তা যদি সঠিক নিয়মে করা হয়, তবেই সর্বোচ্চ উৎপাদন হবে। ফলে কৃষাণীরা নিঃসন্দেহে আরো লাভবান হবেন। তাদের অর্জিত অর্থ সংসারে যোগ হলে জীবনমান বৃদ্ধি পাবে। পরিবারে তার গ্রহণযোগ্যতা হবে আশানুরূপ। সমাবেশে ২২০ জন নারী অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, সারা বাংলা কৃষক সোসাইটি’র ১৩৫টি সদস্য উৎপাদী সংগঠন ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে রয়েছে র্যালি ও শপথগ্রহণ, সচেতনতামূলক আলোচনা, সাদা কাপড়ে হাতের ছাপ সংগ্রহ, নারী উদ্যোক্তা ও নেতৃত্ব উন্নয়ন কার্যক্রম, সাংস্কৃতিক বিনিময়, নাটিকা, সহিংসতার শিকার নারীদের সহায়তা প্রদান এবং অংশগ্রহণমূলক মতবিনিময়। পাশাপাশি কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনীতিতে নারীদের অবদান তুলে ধরা হচ্ছে। ৯ ডিসেম্বর রোকেয়া দিবস উপলক্ষ্যে নারীর অধিকার, মর্যাদা ও অগ্রগতির তাৎপর্য তুলে ধরা হবে। সমাপনী আলোচনা ও মানববন্ধনের মাধ্যমে ১৬ দিনব্যাপী এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে নারী-পুরুষের সচেতনতা ও অংশগ্রহণ আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পরিবার, সমাজ ও কৃষি উৎপাদনে নারীদের নিরাপত্তা, সম্মান ও নেতৃত্ব বিকাশে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে।

