
নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের (এসআরডিআই) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এফ এম মামুন বলেছেন, মাটির প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান হিসেব করে সার দিতে হবে। তবে এর প্রকৃত পরিমাণ মাটি পরীক্ষা না করে জানা সম্ভব নয়। জমিতে সার কম দিলে গাছের পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়। আর বেশি দিলে ক্ষতি হয়। তাই মাটির স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে সার দেওয়া জরুরি। এতে উৎপাদন খরচ হ্রাস পায়। পাশাপাশি ফলনও পাওয়া যায় আশানুরূপ। তিনি আজ বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার নন্দপাড়ায় ব্রি ধান১০৯ নিয়ে শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস দিবসে প্রধান অতিথি বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
এসআরডিআই আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সানজিদা আক্তার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা উৎপল চন্দ্র দাস, প্রদর্শনীচাষি শামীম তালুকদার, কৃষক আনোয়ার হোসেন তালুকদার, কিষাণী তহমিনা আক্তার প্রমুখ। মাঠ দিবসে ২৫ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।
কৃষক আনোয়ার হোসেন তালুকদার এবার এক বিঘা করে আলাদা আলাদা দুইটি প্লটে এই জাতের ধান চাষ করেছেন। একটিতে মাটির পরীক্ষার সুপারিশ কার্ড অনুযায়ী সার প্রয়োগ করেন। অপরটিতে তার মনমতো সার দিয়েছেন। শস্য কাটার পর দেখা গেছে হেক্টরপ্রতি ফলনের পার্থক্য হয়েছে ১.৮ টন।
উল্লেখ্য, ব্রি ধান১০৯ জলমগ্নসহনশীল আমনের একটি জাত। এর জীবনকাল ১৪৭ দিন। বন্যায় না ডুবলে হেক্টরপ্রতি সর্বোচ্চ ফলন হতে পারে প্রায় ৬.৫ টন। আর বন্যায় প্লাবিত হলে ফলন হতে পারে ৫ টনের কাছাকাছি।

