রাজশাহী সংবাদদাতা: জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নাটোর এর উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন)) সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ চত্বর, নাটোর সদর, নাটোরে ‘‘জাতীয় ফল মেলার” শুভ উদ্বোধন হয়।
উদ্বোধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করেন নাটোর জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন।
উদ্বোধনের আগেই জমে উঠেছে নাটোরে অনুষ্ঠিত এবারের জাতীয় ফল মেলা-২০২৫। ফল মেলা ঘিরে হাজার রকমের ফল ও ভেষজ উদ্ভিদ নিয়ে সাজানো প্রতিটি স্টলে রয়েছে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা ,লেবু, দেশী আঙ্গুর, দেশী বেদানা, ড্রাগন, কামরাঙ্গা, মাল্টা, খেজুর, কাউফল, করমচা, ডেউয়া, আঁশফল, গাব, জগডুমুর, আতাফল, ডুমুর, চালতা, অরবরই, , শরিফা, সাতকরা, ডেফল, লুকলুকির, মতো বিলুপ্তপ্রায় ফল স্টলে দেশী বিভিন্ন ফল ও ফল চারা দেখা গেছে। এছাড়া রয়েছে রজেলা ও তুলসি চা,মাশরুম,মধু ও ভেষজ গাছ, পাউডার সহ বিভিন্ন গাছের চারা বেচাকেনার জন্য মোট ৭টি স্টল আছে।
‘‘দেশী ফল বেশি খা্ই আসুন ফলের গাছ লাগাই” উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রথান অথিতি বলেন, মেলা হচ্ছে ঐতিহ্যের স্মারক ‘‘জাতীয় ফল মেলার মূল উদ্দেশ্য হলো স্থানীয় জনগণকে দেশীয় ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সচেতন করা এবং চাষিদের দেশীয় ফলের বাগান করতে উৎসাহিত করা। দেশীয় ফলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে এবং এগুলোর চাষ আমাদের পুষ্টি ও অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশীয় ফলের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি, দামেও সাশ্রয়ী। ফল বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ, এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবারের অসাধারণ উৎস। নিয়মিত ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই নিয়ম করে সকল ঋতুতে দেশীয় মৌসুমী ফল খেতে হবে। বিশেষ করে শিশুদের বেশি করে দেশীয় ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এই মেলার মাধ্যমে স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হবে এবং ফলের চাষেও আগ্রহ বাড়বে। ফলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে বাড়ির আঙিনায় বা ছাদে এবং সম্ভাবনাময় সকল ক্ষেত্রে ফলের গাছ রোপন করতে হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের, নাটোর জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. হাবিবুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরোও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আখতার জাহান সাথী এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ পরিচালক (উদ্যান) শামসুন্নাহার, আদর্শ ফলচাষী সেলিম রেজা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার নীলিমা জাহান। মেলায় বিভিন্ন দেশীয় ফল এবং ফল গাছের চারা প্রদর্শনীর সাতটি স্টল প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এছাড়া ভেষজ পল্লীর বিভিন্ন ভেষজ উপকরণ বিক্রি করা হয়েছে।
মেলা উদ্বোধন শেষে জেলা/ উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা/ কর্মচারী, এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ, প্রিন্ট-ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধি, কৃষক,কৃষি উদ্যোক্তা, শিক্ষার্থী সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহন করে। মেলা ১৯ থেকে ২১ জুন পর্যন্ত।