Friday 26th of April 2024
Home / অন্যান্য / নারীরা খেলাধুলায় জড়িত থাকলে বাল্যবিবাহ রোধ করা সম্ভব

নারীরা খেলাধুলায় জড়িত থাকলে বাল্যবিবাহ রোধ করা সম্ভব

Published at নভেম্বর ১৪, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফুটবল ক্রিকেটের মতো ভলিবলেও বাংলাদেশের মেয়েরা ভালো করবে। নারীরা খেলাধুলার সাথে জড়িত থাকলে বাল্যবিবাহ রোধ করা সম্ভব। শিক্ষার হার ও নেতৃত্বগুণ বাড়ানো এবং ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটানো সম্ভব। ফলে নারীর ক্ষমতায়ন হতে পারে। ক্রীড়াঙ্গনে মেয়েদের এই সাফল্যের তালিকাটি বেশ র্দীঘ। আশার কথা, ক্রীড়াবান্ধব এই সরকার নারী খেলোয়ারদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে অনেক উদ্যোগ নিয়েছে। ক্রীড়াঙ্গনে সাফল্য পাওয়ার পাশাপাশি নারীদের পথচলা সহজ ও সুগম হয়ছে। এদেশের নারী ক্রীড়াবিদরা আপন র্মযাদায় একদিন মহিমান্বিত হবে। 

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে বঙ্গমাতা এশিয়ান সিনিয়র ওমেনস সেন্ট্রালজোন ইন্টারন্যাশনাল ভলিবল চ্যাম্পিয়নশীপ-২০১৯ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

কৃষি মন্ত্রী বলেন, আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে নারীর ক্ষমতায়ন -এর কথা উল্লেখ রয়েছে। নির্বাচনী ইশতেহারের যা যা আছে তা সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করাই সরকারের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য অর্জনে নারীদের পিছনে রেখে বা তাদেরকে দূর্বল ভাবার কোন সুযোগ নেই।

তিনি আরো বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশের মর্যাদা অর্জন করা। সে লক্ষ্য অর্জনে সবাইকে যার যার অবস্থান হতে কাজ করতে হবে। গত এক দশকে নারী ক্রীড়াঙ্গনের চেহারাই পাল্টে গেছে। ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য দিয়ে আলোচনায় এসেছেনে বারবার। অথচ ১৫ বছর আগেো এমনটি কল্পনা করা যেত না। 

বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের সভাপতি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রতিযোগিতার স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান ইউনুস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউনুস ও ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু প্রমুখ এবং বাংলাদেশ ওলেম্পিক এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট লে. জেনারেল (অব:) শহিদ রেজা।

উল্লেখ্য, প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত ‘বঙ্গমাতা এশিয়ান সিনিয়র ওমেনস সেন্ট্রাল জোন ইন্টারন্যাশনাল ভলিবল চ্যাম্পিয়নশিপ’ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নেপাল ও রানার আপ হয়েছে মালদ্বীপ। আফগানিস্তান, কিরগিজস্তান, মালদ্বীপ, নেপাল, তুর্কমেনিস্তান ও বাংলাদেশ এই ৬ দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই দেশের মাটিতে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের মেয়েরা।

অনুষ্ঠানে নেপাল ও মালদ্বীপের রাস্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন। খেলা শেষে বিজয়িদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধান অতিথি কৃষি মন্ত্রী।

 

 

 

This post has already been read 2899 times!