Friday 26th of April 2024
Home / অন্যান্য / তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর রাষ্ট্র ব্যবস্থা বিনির্মাণে অবিরাম কাজ করছে সরকার -শ ম রেজাউল করিম

তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর রাষ্ট্র ব্যবস্থা বিনির্মাণে অবিরাম কাজ করছে সরকার -শ ম রেজাউল করিম

Published at নভেম্বর ২৪, ২০২০

পিরোজপুর : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, “বিজ্ঞানমনস্ক সমাজ ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর রাষ্ট্র ব্যবস্থা বিনির্মাণে সরকার অবিরাম কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য প্রাণান্ত প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। অনেকেই শুরুতে উপলব্ধি করতে না পারলেও এখন শুধু উপলব্ধিই নয়, নিজেদের প্রয়োজন মেটাচ্ছেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয়। বিশ্ব এখন গ্লোবাল ভিলেজ তথা একটি গ্রামে পরিণত হয়েছে। এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিস্ময়কর অগ্রগতির জন্য যাকে প্রশংসা করতে হয়, কৃতজ্ঞতা জানাতে হয় তিনি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।”

মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ৪২তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ ২০২০ ও ৫ম জাতীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড ২০২০ উপলক্ষ্যে পিরোজপুর সদর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বিজ্ঞান মেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির আহমেদের সভাপতিত্বে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন, পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান, পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হাকিম হাওলাদার ও পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এসময় পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহজাহান খান তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান ফুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী, কৃষকলীগের জেলা সভাপতি চান মিয়া মাঝি, পিরোজপুরের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী, পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম বায়েজিদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আজকের ক্ষুদে বিজ্ঞানীরাই সম্ভাবনার বাংলাদেশ সৃষ্টি করবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “এরাই আগামী দিনের শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক হবে। এরাই আমাদের জাতিকে পথ নির্দেশ করবে। আমাদের সন্তানদের বিজ্ঞানমনস্ক করতে পারলে, তথ্যপ্রযুক্তির দিকে আকৃষ্ট করতে পারলে, তারা অনেক কিছু করতে পারবে। সারা বিশ্বে বিস্ময়কর সব সৃষ্টি বাঙালিরা করছে। আমাদের সন্তানদের মেধা আছে। আসুন সন্তানদের বিজ্ঞানমনস্ক করি, আদর্শ শিক্ষায় শিক্ষিত করি এবং নৈতিকতা ও মূল্যবোধের জায়গায় তাদের উজ্জ্বীবিত করি। নৈতিকতা ও মূল্যবোধে উজ্জ্বীবিত করতে না পারলে পুঁথিগত শিক্ষা অর্থহীন হয়ে যাবে।”

এক সময় প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থাকে কঠিন করে ফেলা হয়েছিলো মন্তব্য করে মন্ত্রী আরো যোগ করেন, “এখন সবচেয়ে কম মূল্যে ইন্টারনেটসহ কথা বলার সুযোগ-সুবিধা হাতের মুঠোয়। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এ প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট, যেটা বাস্তবায়ন করেছে শেখ হাসিনা সরকার। আমাদের বিজ্ঞানের প্রতি মনোনিবেশ মাঝপথে অনেক কমে গিয়েছিলো। কিন্তু বৈজ্ঞানিক ভিত্তির উপর সবকিছুকে আদর্শ জায়গায় নিয়ে না আসলে আমাদেরে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।”

পরে পিরোজপুর সদর উপজেলার আটটি বিদ্যালয় ভবনের উদ্বোধন শেষে শ ম রেজাউল করিম আরো যোগ করেন, “নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে সম্প্রসারিত করা ও উপযুক্ত করার জন্য সকল পদক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়েছেন। কারণ তিনি মনে করেন শিক্ষা কোন অনুকম্পা নয়, শিক্ষা অধিকার। এমনকি প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ নিয়ে বিনা বেতনে নারীদের উচ্চশিক্ষায় ‍শিক্ষিত করার কর্মসূচি নিয়েছেন। তাঁর লক্ষ্য পূরণে আমরা সব প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পর্যায়ক্রমে ওয়াশব্লক করবো। একটি স্বাস্থ্যসমত ওয়াশব্লক না থাকলে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা নানারকম রোগে আক্রান্ত হয়। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে বিদ্যালয়ের পরিবেশ ভালো করার জন্য সব বিদ্যালয়ে ওয়াশব্লক ও সীমানা দেয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। এভাবে আমরা শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে চাই।”

পরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, “কৃষি উৎপাদন বাড়াতে কৃষককে সকল সুযোগ-সুবিধা দিয়ে দেশের কৃষি ব্যবস্থাকে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে নেয়ার জন্য সরকার কাজ করছে। শেখ হাসিনার দৃঢ় পদক্ষেপের কারনে দেশের কোথাও এখন সার-কীটনাশকের সমস্যা নেই। কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের পরিকল্পনা নিয়ে শেখ হাসিনা সরকার কাজ করে চলেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসনের আওতায় প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে।” এসময় রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেন মন্ত্রী।

পরে ঝাটকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন, পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের একাডেমিক ভবনের সম্প্রসারিত অংশের উদ্বোধন, কলেজের ১৩২ শয্যাবিশিষ্ট ৫তলা ছাত্রী নিবাসের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং কলেজের শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় করেন মন্ত্রী।

This post has already been read 1939 times!