Tuesday 30th of April 2024
Home / পোলট্রি / ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশের এক নম্বর মাংস হবে পোল্ট্রি

২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশের এক নম্বর মাংস হবে পোল্ট্রি

Published at মার্চ ১৮, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: পোল্ট্রি শিল্প দেশের মোট চাহিদার ৪৫-৫০ শতাংশ প্রাণিজ আমিষের যোগান দিচ্ছে। সরকারের সহাযোগিতা পেলে ২০৪১ সাল নাগাদ দারিদ্র সীমা ও অপুষ্টিজনিত সমস্যা দূর করতে এ শিল্প সবচেয়ে বড় ভুমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেন ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা (ওয়াপসা-বিবি) এর সভাপতি মসিউর রহমান। শনিবার (১৮ মার্চ) ১২তম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি শো’র সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

মসিউর বলেন, ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশের এক নম্বর মাংস হবে মুরগির মাংস। বর্তমানে পোল্ট্রি শিল্পে বিনিয়োগের পরিমান ৪০ হাজার কোটি টাকা। ২০৪১ সালে তা হবে প্রায় ৭০-৮০ হাজার কোটি টাকা। কর্মসংস্থান ৬০ লাখ থেকে বেড়ে হবে প্রায় ১ কোটি ৩০লাখ। তিনি বলেন, ২০১৯ সাল থেকে আমরা ফিড রপ্তানি করছি। বেশ কিছু জটিলতার কারণে রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা প্রয়োজন। মসিউর বলেন, মুরগির মাংস রপ্তানির জন্য আমরা প্রস্তুত হচ্ছি তবে এজন্য পোল্ট্রি জোন, কম্পার্টমেন্টালাইজেশন, ডেডিকেটেড ফার্ম, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হালাল বোর্ড দরকার। অবিলম্বে পোল্ট্রি বোর্ড গঠনের জন্য আবারও দাবি জানান মসিউর।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সচিব ড. নাহিদ রশীদ বলেন, দেশী পোল্ট্রি যে সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তা যেন দীর্ঘ না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। পোল্ট্রি পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণে একত্রে কাজ করতে হবে।

ওয়াপসা-বিবি’র সাধারন সম্পাদক মো. মাহাবুব হাসান বলেন, মূলত: তিনটি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এবারের শো ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে- (১) পোল্ট্রি শিল্পে নতুন জ্ঞান ও প্রযুক্তির সম্মিলন ঘটিয়ে উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনা, (২) নিরাপদ ডিম ও মুরগির মাংস উৎপাদন এবং (৩) পোল্ট্রি শিল্পকে টেকসই করা। মাহাবুব মনে করেন- আগামী কয়েক বছরে এর প্রতিফলন ঘটবে। স্কুলের টিফিনে সপ্তাহে অন্তত: ২টি সিদ্ধ ডিম এবং গার্মেন্টসের কর্মীদের জন্য ডিম ও মুরগির মাংসের বরাদ্দ নিশ্চিত করতে সরকারের সহযোগিতা চান হাসান ।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম. মোস্তফা কামাল এ.টি.এম. মোস্তফা কামাল।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয় ২০টি দেশের ১৬৯ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাঁদের প্রযুক্তি, পণ্য ও সেবা ৬০০টি স্টলে প্রদর্শণ করেছেন। মেলা পরিদর্শন করেছেন প্রায় ৬০ হাজার দর্শণার্থী। পোল্ট্রি বিষয়ক অনলাইন, ম্যাগাজিন ও পত্রিকার কনটেন্ট বিবেচনায় “পোল্ট্রি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২৩” এর প্রথম পুরষ্কার লাভ করে এগ্রিলাইফ২৪.কম, দ্বিতীয় পুরষ্কার এগ্রিনিউজ২৪.কম এবং তৃতীয় পুরষ্কার লাভ করে পোল্ট্রি খামার বিচিত্রা। বেস্ট স্টলের পুরষ্কার লাভ করে স্কয়ার এগ্রোভেট, দ্বিতীয় পুরষ্কার এসিআই-সিভা এবং তৃতীয় পুরষ্কার লাভ করে কেমিন।

This post has already been read 2819 times!