
পাবনা সংবাদদাতা: পাবনায় গম উৎপাদন ও বীজ সংরক্ষণের উপর জাত প্রদর্শনী সংশ্লিষ্ট কৃষক ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের ১ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় উপপরিচালকের কার্যালয়, পাবনা খামারবাড়িস্থ প্রশিক্ষণ হলে বাংলাদেশ গম ও ভূট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট, রাজশাহী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এ সময় মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রামানিক, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পাবনা। তিনি বলেন, গম আমাদের খাদ্য তালিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি একটি প্রধান খাদ্য শস্য যা দিয়ে রুটি, পরোটা, বেকারি পণ্য, পশু খাদ্যসহ বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়। গম শুধু স্বাদের দিক থেকেই নয়, পুষ্টিগুণের দিক থেকেও অত্যন্ত সমৃদ্ধ। স্বাদ ও পুষ্টি বিবেচনায় বিশ্বব্যাপী গমের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। তিনি আরো বলেন, গম মূলত শীতকালীন ফসল। আমাদের দেশে শীতের স্থায়ীত্ব কম হলেও বাংলাদেশ গম ও ভূট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট তাপসহিষ্ণু গমের উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছেন। যা মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণের কাজ চলমান রয়েছে। খরচের বিবেচনায় গম লাভজনক ফসল, পানি ও সারের ব্যবহার কম, রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হওয়ায় বালাইনাশক খরচ কম। পুষ্টিসমৃদ্ধ ও অর্থকরী ফসল উৎপাদনে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, জৈব সার ও সঠিক কীটনাশকের ব্যবহার, মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি, পারিবারিক পর্যায়ে সচেতনতা এবং পুষ্টিমান বৃদ্ধি করে এমন ফসলের উৎপাদনের প্রতি গুরুত্ব দেন।
প্রশিক্ষণে প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জাহেরুল ইসলাম, জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম, অতি. উপপরিচালক (উদ্যান) কৃষিবিদ মো. নুরে আলম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোছা: সুহানা খাতুন গমের উচ্চফলনশীল জাতসমূহ পরিচিতি, উৎপাদন প্রযুক্তি, রোগবালাই ও দমন ব্যবস্থাপনা, বীজ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ প্রযুক্তি নিয়ে সেশন পরিচালনা করেন। প্রশিক্ষণে পাবনা জেলার ২০ জন কৃষক-কৃষাণী ও ৪ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ শেষে কৃষক-কৃষাণীদের প্রতিজনকে বারি গম ৩৩, বিডাব্লিউএমআরআই গম ১,২,৩ ও ৪ জাতের মধ্যে যেকোন একটি জাতের গম বীজ ১২ কেজি, ইউরিয়া ২০ কেজি, ডিএপি ১২ কেজি, এমওপি ১৩ কেজি, জিপসাম ১০ কেজি ও রোবণ ৬০০ গ্রাম প্রদান করা হয়।

