মো. এমদাদুল হক (রাজশাহী) : জলবায়ু সহনশীল জীবিকায়ন নিশ্চিতকরণে রাজশাহীতে Building Climate Resilient Livelihoods in Vulnerable Landscapes in Bangladesh (BCRL) প্রকল্পের আওতায় নতুন ফসল নির্বাচন সংক্রান্ত পরামর্শমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৬ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালকের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
বিসিআরএল, খামারবাড়ি, ঢাকার উদ্যোগে এবং রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আজিজুর রহমান।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. আবুল কালাম আজাদ, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম, এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব ও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের শিক্ষক।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিসিআরএল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. লোকমান হোসাইন মজুমদার।স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজশাহী অঞ্চলের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোছা. উম্মে ছালমা।
কর্মশালায় প্রকল্প পরিচালক ড. মো. লোকমান হোসাইন মজুমদার পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনায় জানান, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন ও পুষ্টিকর ফসল নির্বাচন এবং সম্প্রসারণ এই প্রকল্পের অন্যতম অগ্রাধিকার। প্রকল্পভুক্ত কৃষকদের মোবাইলে এসএমএস-এর মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানে পরামর্শ দেওয়া হবে এবং মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।তিনি বলেন, “প্রতিটি গ্রুপে ৪০ জন সদস্য রয়েছে এবং পরিকল্পিত ফসল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধিই এই কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য।”
প্রধান অতিথি কৃষিবিদ ড. মো. আজিজুর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, “ফসল উৎপাদনে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে কাজ করলে জমির অপচয় রোধ হবে এবং কৃষির দক্ষতা বাড়বে। আমাদের যৌথভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ করে কাজ করতে হবে।”
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা নতুন ফসল উৎপাদন, প্রযুক্তি ব্যবহার, খাদ্য নিরাপত্তা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে কৃষি ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে মুক্ত আলোচনা করেন।
কর্মশালায় রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোর জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালকবৃন্দ, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি), বিএডিসি, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ), সরেজমিন গবেষণা কেন্দ্র, কৃষি তথ্য সার্ভিসসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।