
পাবনা সংবাদদাতা: পাবনা’র ঈশ্বরদী উপজেলার দাঁদপুর গ্রামে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিনা উদ্ভাবিত আমন ধানের উন্নত জাত বিনা ধান২৬ এর সাথে ব্রি ধান৮৭ এর প্রায়োগিক পরীক্ষণ মূল্যায়ন ও চাষাবাদ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উপকেন্দ্র ঈশ্বরদী এই মাঠ দিবস এর আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রামানিক, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পাবনা। বিনা উপকেন্দ্র ঈশ্বরদীর পিএসও এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস ইকবাল এতে সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষিবিদ মো. আব্দুল মমিন, উপজেলা কৃষি অফিসার, ঈশ্বরদী। এছাড়াও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহবুবুল আলমসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং দাদপুর গ্রামের কৃষক কৃষাণীবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা বলেন, বিনা উদ্ভাবিত আমনের বিনা ধান২৬ জাতটি উচ্চ ফলনশীল, চাল সরু ও লম্বা। চালে অ্যামাইলোজের পরিমাণ শতকরা ২৬.৪ ভাগ এবং প্রোটিনের পরিমাণ প্রতি কেজিতে ৯.৪ মিলিগ্রাম। জাতটি ব্যাকটেরিয়াজনিত পাতাপোড়া (বিএলবি) রোগ প্রতিরোধী। এর জীবনকাল ১১৫-১২০ দিন। প্রতি হেক্টরে গড় ফলন ৬.৫ টন। উক্ত প্রায়োগিক পরীক্ষণ মূল্যায়নে দেখা যায় যে, বিনা ধান২৬ আগাম জাত হওয়ায় তুলনামুলক ভাবে অনেক কম সময়ে ফলন পাওয়া যায়। এতে ধান সংগ্রহ করে সহজেই রবি ফসল চাষাবাদ করা যায়। ফলে কৃষকরা আর্থিকভাবে অধিক লাভবান হতে পারবেন। এসময় বিনা উদ্ভাবিত আমন ধানের উন্নত জাত বিনা ধান২৬ এবং ব্রি ধান৮৭ এর প্রায়োগিক পরীক্ষণ মূল্যায়ন ও চাষাবাদ নিয়ে বিস্তর আলোচনা করা হয়।

