রাজশাহী সংবাদদাতা: বুধবার (১৫ মে) পোস্টাল একাডেমী, রাজশাহীর সম্মেলন কক্ষে “লেবু জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি” প্রকল্পের আওতায় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহী অঞ্চল, রাজশাহী এর আয়োজনে দিনব্যাপী আঞ্চলিক কর্মশালা/২০২৩-২৪ অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ বাদল চন্দ্র বিশ্বাস এর অনুপস্থিতিতে প্রধান অতিথির আসন গ্রহণ করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বগুড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সরকার শফি উদ্দীন আহমদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেবু জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. ফারুক আহমদ, রাজশাহীর আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার কৃষিবিদ মো: শামসুদ্দিন মিয়া। উক্ত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহী অঞ্চল, রাজশাহীর অতিরিক্ত পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. মো. মোতালেব হোসেন ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন লেবু জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. ফারুক আহমদ।
অতিথিবৃন্দ তাঁদের বক্তব্যে বলেন, ভিটামিন সি এর প্রধান উৎস হলো লেবু জাতীয় ফসল। প্রতিদিনই যার প্রয়োজন হয়। আমাদের দেশে লেবু জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে। দেশে মাল্টা, বাতাবি লেবু, কমলা, এলাচি লেবু, জারা লেবু, কলম্বো লেবু, সাতকরাসহ নানা ধরনের লেবুজাতীয় ফল রয়েছে। এসব ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য দেশ ব্যাপী বিপ্লব ঘটাতে হবে। এগুলোর প্রসার ও উন্নয়নে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। সাইট্রাস বা লেবুজাতীয় ফলের মধ্যে দেশে মাল্টা, কমলা ও বাতাবি লেবুর চাষের প্রচুর সম্ভাবনাও রয়েছে। বারি বাতাবি লেবু-৩ একটি ভাল জাত যা সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। এছাড়া বারি মাল্টা-১ খুবই ভালো মানের মাল্টা। আমাদের কমলা ও মাল্টাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে হবে এবং রপ্তানির যোগ্যতা অর্জন করতে হবে এই লক্ষ্য নিয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে।
অতিথিবৃন্দ আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে প্রতি ইঞ্চি মাটির সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে লেবু চাষ সম্প্রারণের কোন বিকল্প নেই। কারণ লেবু পুকুরপাড়, এবং বেড়া হিসেবেও বাগানের চারিদিকে লাগানো যায়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উপজেলা হতে লেবু জাতীয় ফসলের ওপর উপস্থাপনা করা হয়।
কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, হর্টিকালচার সেন্টার, কৃষি তথ্য সার্ভিস, ধান গবেষণা, এসআরডিআই, ফল গবেষণা, গম ও ভূট্টা গবেষণা, বিএডিসি, বিএমডিএ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, কৃষক এবং অন্যান্য ব্যক্তিবর্গসহ প্রায় ১৫০ জন উপস্থিত ছিলেন।



