রাজশাহী সংবাদদাতা: আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন (২য় সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মোহনপুর, রাজশাহী কর্তৃক বাস্তবায়িত নিরাপদ উচ্চমূল্য ফসল মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) উপজেলার টাংগন, রায়ঘাটিতে মাঠ পরিদর্শন ও উপকারভোগী কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব শাহীন আখতার । উক্ত প্রোগ্রামে আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষি উন্নয়ন (২য় সংশোধিত) প্রকল্পের পরিচালক হাসানুজ্জামান, উপ প্রকল্প পরিচালক মো. আমিনুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহীর অতিরিক্ত উপপরিচালক (পিপি) ড. মো. আব্দুল মজিদ, উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোহা. আব্দুল মতিন, মনিটরিং অফিসার নাঈম হাসান, উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মোহনপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ কামরুল ইসলাম। মতবিনিময় সভা শুরুর আগেই অতিথিদ্বয় প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত নিরাপদ উচ্চমূল্য ফসল পটল, পান, গ্রিণ এনার্জি ব্যাবহার করে সেচ প্রদান, বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি পরিদর্শন করেন।
সম্মানিত অতিথিরা বলেন, আজ আমরা দেখতে পেলাম নিরাপদ ও উচ্চমূল্য ফসল যেমন পটল ও পান চাষে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার। বিশেষ করে গ্রিণ এনার্জি দ্বারা সেচ ব্যবস্থা আমাদের কৃষিকে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই করছে। এতে খরচ কমছে, জ্বালানি সাশ্রয় হচ্ছে এবং কৃষকরা সহজে সেচ সুবিধা পাচ্ছেন। এছাড়া আমরা বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি পরিদর্শন করেছি, যা ফসল উৎপাদনে দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বাড়াবে। মাটি প্রস্তুত থেকে শুরু করে বীজ বপন, সার প্রয়োগ এবং ফসল সংগ্রহ—সবক্ষেত্রে এসব আধুনিক যন্ত্র কৃষকের পরিশ্রম কমাবে ও সময় সাশ্রয় করবে, একদিকে যেমন খরচ কমবে অন্যদিকে আপনারা লাভবান হবেন। তাঁরা কৃষকদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, দেশে এখন বিভিন্ন প্রকার ফসলের উৎপাদন হচ্ছে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এসব ফসলে নতুন নতুন পোকা-মাকড় ও রোগ-বালাইয়ের প্রাদুর্ভাবও ঘটছে। এর জন্য পরিবেশবান্ধব জৈব বালাBbvkK, হলুদ ট্র্যাপ, সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করতে হবে। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনসহ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কৃষকদের সক্ষম হয়ে এবং কৃষকদের আর্থিক অবস্থার টেকসই উন্নয়ন ও পুষ্টির চাহিদা পূরণের মাধ্যমে পরবর্তী সুস্থ্য প্রজন্ম গড়ার প্রত্যয়ে উপস্থিত কৃষক-কৃষাণীদের সচেতন থাকার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, কৃষক-কৃষাণীসহ প্রায় ২0০ জন উপস্থিত ছিলেন।