নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশাল মেট্টোপলিটন এলাকার কৃষকদের মাঝে রবিফসলের প্রণোদনা বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) নগরীর খামারবাড়ির চত্বরে মেট্টোপলিটন কৃষি অফিসের উদ্যোগে প্রণোদনা উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শিকদার। অনুষ্ঠানে ডিএই’র উপপরিচালক মোসাম্মৎ মরিয়ম, এসএসিপি রেইন্স প্রকল্পের আঞ্চলিক প্রকল্প অফিসার মো. রিফাত সিকদার, ডিএইর অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) মো. মুসা ইবনে সাঈদ, অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) মো. শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) মো. মামুনুর রহমান, তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার মো. আলী আজিম শরীফ, আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার শেখ হাবিবুর রহমান, মেট্টোপলিটন কৃষি অফিসার জয়ন্তি এদবর, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সৈয়দা ফারহিন তামান্না, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা এস. এম. নাহিদ বিন রফিক অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

কৃষি অফিসার জানান, আগাম শীতকালিন শাকসবজির উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে ২ শ’ ২০ জন চাষিকে বিনামূল্যে বিভিন্ন ফসলের প্রণোদনা বিতরণ করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে বসতবাড়িতে ফসল আবাদের জন্য ৮০ জন কৃষককে বেগুন, পালংশাক, লালশাক, মটরশুটি, লাউ, মূলা এবং বাটিশাকের উন্নতমানের ইনব্রিড বীজ বিতরণ করা হয়। আর মাঠ পর্যায়ে চাষের জন্য ১ শ’ ৪০ জন চাষিকে লাউ, বেগুন, মিষ্টিকুমড়া এবং শশার হাইব্রিড বীজ এবং ১০ কেজি হারে ডিএপি ও এমওপি সার দেওয়া হয়েছে।
উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথি বলেন, আজকের দেওয়া প্রণোদনার উদ্দেশ্যে হলো চাষাবাদে আপনাদের উৎসাহিত করা। তাই এই উৎসাহে কাজের গতি যেন ৩ গুণ বেড়ে যায়। তেলফসল সম্পর্কে তিনি বলেন, তেলফসল আবাদে আমরা একটা পরিবর্তন আনতে চাই। এই অঞ্চলে একসময় প্রচুর পরিমাণে তিল হতো। তখন আমরা তিল আর সরিষার তেল খেতাম। তাই সয়াবিন তেলের পরিবর্তে আবার আমরা পুরোনো দিনে ফিরে আসব। আর তা মাঠে উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে আপনারাই বাস্তবায়ন করবেন। আমরা পাশে আছি।
বীজ রয়েছে। অপর ১ শ’ জনের প্রত্যেককে ৫ কেজি উফশী ধানের বীজ, সে সাথে আছে ডিএপি এবং এমওপি ১০ কেজি করে। বাকি ৭ শ’ কৃষকের জন্য ২০ কেজি গম, ২ কেজি ভুট্টা, ১ কেজি সরিষা, ১ কেজি সূর্যমুখী, ৫ কেজি মুগ, ৫ কেজি মুসুর এবং ৮ কেজি খেসারি মধ্যে যেকোনো একটি ফসলের বীজ। এর পাশাপাশি ডিএপি সার ১০ কেজি করে। আর এমওপি সার দেওয়া হবে গম, ভুট্টা, সরিষা ও সূর্যমুখীর ক্ষেত্রে ১০ কেজি। তবে মুগ, মসুর ও খেসারির জন্য ৫ কেজি। এসব প্রণোদনা প্রতি কৃষকের ১ বিঘা জমিতে ব্যবহার হবে।