
নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষি মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে বর্তমান সরকার। বিগত এক বছরে মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো—মন্ত্রণালয়ের ১০৯ জন কর্মকর্তা, যারা দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত ছিলেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতে পদোন্নতি প্রদান। একইসঙ্গে দুর্নীতির অভিযোগে শতাধিক কর্মকর্তার নাম দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এ প্রেরণ করা হয়েছে তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এসব তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ানসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির আওতায় গত এক বছরে ১৯ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং প্রশাসনিক কাঠামোর দক্ষতা বাড়াতে ৬৪৫ জন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। একইসঙ্গে শতাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বিষয়টি দুদকে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “প্রশাসনের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা না থাকলে মাঠপর্যায়ে কৃষকের কাছে সরকারের সহায়তা সঠিকভাবে পৌঁছাবে না। আমরা চাই, প্রতিটি কৃষক যেন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে তার প্রাপ্য সহযোগিতা পায়।”
উপদেষ্টা তার বক্তব্যে জানান, কৃষি মন্ত্রণালয়ে কোনো দুর্নীতিবাজের জায়গা নেই এবং এই বিষয়ে সরকার অত্যন্ত কঠোর। প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এই সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সরকারের এই উদ্যোগকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের দীর্ঘদিনের গঠনতান্ত্রিক দুর্বলতা কাটিয়ে একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও আধুনিক প্রশাসনিক কাঠামো গঠনের দৃঢ় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা মনে করছেন, এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে মাঠপর্যায়ে কৃষকবান্ধব প্রশাসন গড়ে তোলা সম্ভব হবে।