
গাইবান্ধা সংবাদদাতা : গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ব্লকে তেল ফসলের আবাদ বৃদ্ধি ও নতুন জাত সম্প্রসারণে কৃষকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ জাগিয়ে তুলছেন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার শর্মিলা শারমিন। গত বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর ২০২৫) তিনি সর্বাঙ্গভাদুরিয়া, ভবানীপুর দুবলাগাড়ী ও পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামে কৃষক-কৃষাণীদের নিয়ে উঠান বৈঠক ও উদ্বুদ্ধকরণ সভা পরিচালনা করেন।
সরেজমিনে কথা হলে শর্মিলা শারমিন জানান, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জনাব সাজ্জাদ হোসেন সোহেল স্যারের নির্দেশে তিনি তেল জাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে কৃষকদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা ও উঠান বৈঠক করছেন। তিনি বলেন, “রোপা আমন ধান কাটার পর জমি দীর্ঘদিন পতিত থাকে, এরপর কৃষকরা বোরো ধান রোপণ করেন। কিন্তু এই পতিত সময়কে কাজে লাগিয়ে যদি সরিষা আবাদ করা যায়, তাহলে দেশের তেলের ঘাটতি পূরণ হবে এবং কৃষকরাও বাড়তি লাভবান হবেন।”
তিনি আরও জানান, এবছর তার ব্লকে সরিষা ৩৮ হেক্টর, সূর্যমুখী ১ হেক্টর এবং সয়াবিন ১ হেক্টর জমিতে তেল জাতীয় ফসলের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। “লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য কৃষকদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে বোঝাচ্ছি,” যোগ করেন তিনি।
উঠান বৈঠকে অংশ নেওয়া সর্বাঙ্গভাদুরিয়া গ্রামের কৃষক মো. ফিরোজ মিয়া বলেন, “উপ-সহকারী কৃষি অফিসার শর্মিলা শারমিন সরিষার আবাদ বাড়াতে নিয়মিত আমাদের গ্রামে উঠান বৈঠক করছেন। এভাবে কাজ করলে এলাকায় সরিষার আবাদ আরও বৃদ্ধি পাবে।” তিনি জানান, “আমি এবছর ১৫ বিঘা জমিতে সরিষা, ২ বিঘায় সূর্যমুখী ও ১ বিঘায় সয়াবিন আবাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
উল্লেখ্য, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলে তেল ফসলের আবাদ সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য শর্মিলা শারমিন গত বছরে গাইবান্ধা জেলায় প্রথম ও রংপুর অঞ্চলে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে সম্মাননা লাভ করেন।

