Friday 19th of April 2024
Home / অর্থ-শিল্প-বাণিজ্য / ২০৩০ সালে লেদারপণ্যের রপ্তানি হবে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার

২০৩০ সালে লেদারপণ্যের রপ্তানি হবে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার

Published at ডিসেম্বর ৭, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি,এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় রপ্তানি পণ্য লেদার। লেদার শিল্পের উন্নয়ন ও রপ্তানি বৃদ্ধির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে লেদার খাতের রপ্তানি এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি, আগামী ২০৩০ সালে এ রপ্তানির হতে পারে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। লেদার পণ্যের মান রপ্তানি বাজার এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কাঁচামাল এবং দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার করে আমরা লেদার শিল্পকে অনেকদুর এগিয়ে নিতে পারি। আন্তর্জাতিক বাজারে লেদার পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। অনেকগুলোর কাজ এখন শেষ পর্যায়ে এগুলোতে অতি সহজেই লেদার শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব। ইতোমধ্যে অনেক দেশ বিনিয়োগের জন্য অনেক দেশ এগিয়ে এসেছে। দেশি-বিদেশী বিনিয়োগ আরও প্রয়োজন। বিনিয়োগকারীরা এখানে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। দেশের দক্ষ জনশক্তির কর্মসংস্থান হবে। এ শিল্পকে পরিকল্পিত ভাবে এগিয়ে নেয়ার জন্য সরকার ঢাকার হাজারিবাগ থেকে লেদার শিল্প কলকারখানা সাভার ট্যানারিতে স্থানান্তর করেছে। এখন সেখানে উন্নত পরিবেশে আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় লেদার শিল্প এগিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বুধবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধায় এক্সপো জোনে লেদারগুডস এন্ড ম্যান্যুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ(এলএফএমইএবি) আয়োজিত তিনদিনব্যাপী “লেদারটেক-২০২২” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানের সময় এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশন করে উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হবে। তখন বাংলাদেশের জন্য এলডিসিভুক্ত দেশের সুযোগ-সুবিধা থাকবে না। বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করেই এগিয়ে যেতে হবে। চলমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে ভিয়েতনাম ও চায়নার মতো দেশগুলো থেকে লেদার শিল্প স্থানান্তর করা হচ্ছে। বাংলাদেশে জন্য এটা সুযোগ। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। উন্নতমানের পণ্য উৎপাদন করে লেদার শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে। দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এধরনের শিল্প উন্নয়নে সহায়তা দিচ্ছে। সরকারও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করছে।

লেদারগুডস এন্ড ম্যান্যুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ(এলএফএমইএবি) এর প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন(বিটিএ) এর চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, ভারতের কমিটি অফ এডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল অফ লেদার এক্সপোর্টস এর সদস্য ভিপেন কুমার সেথ, ভারতের ফুটওয়্যার কমপোনেন্টস

ম্যান্যুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এর ম্যানেজিং কমিটি মেম্বার ইরিক ইলিং, এএসকে ট্রেড এন্ড এক্সিবিশন প্রা. লি. এর পরিচালক নন্দগোপাল কে। অনুষ্ঠানে ভোট অফ থ্যাংকস প্রদান করেন এএসকে ট্রেড এন্ড এক্সিবিশন প্রা. লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিপু সুলতান ভূঁইয়া।

উল্লেখ্য, ৮ম বারের মতো আয়োজিত এ “লেদারটেক-২০২২” এ ১০টি দেশের প্রায় ২০০টি প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহণ করেছে। আগামী ৯ ডিসেম্বর, ২০২২ পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য সকাল ১১ টা থেকে সন্ধা ৭টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে।

This post has already been read 1229 times!