বাকৃবি সংবাদদাতা: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন অনুষদের শিক্ষকরা কম্বাইন্ড (বি.এসসি ইন ভেট সায়েন্স অ্যান্ড এএইচ) ডিগ্রির বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে সোমবার (২৫ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলন করেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীদের ‘ফ্যাসিস্ট সমর্থনকারী’ হিসেবে উল্লেখ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষকদের বক্তব্যকে ‘অসত্য, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ আখ্যা দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারীরা জানান, সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা অভিযোগ করেন যে তারা নবীন শিক্ষার্থীদের (২০২৪-২৫ সেশন) জোরপূর্বক আন্দোলনে যুক্ত করেছেন। এমনকি তাদেরকে ফ্যাসিবাদের সমর্থক হিসেবেও অভিহিত করা হয়। শিক্ষকদের এই বক্তব্যের প্রতিবাদে বিকেলে শিক্ষার্থীরা সমাবেশ করেন এবং একে ‘ভিত্তিহীন ও দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে অভিহিত করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, “কম্বাইন্ড ডিগ্রি নিয়ে অনুষ্ঠিত ভোটগ্রহণ কর্মসূচিতে কারও ওপর কোনো জবরদস্তি করা হয়নি। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন এবং এটি উপাচার্যের নির্দেশনায় গঠিত নিরপেক্ষ কমিটির অধীনে সম্পন্ন হয়েছে।” তারা আরও জানান, নবীন শিক্ষার্থীদের জোর করার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। নবীনরা নিজেরাই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে নবীনবরণ অনুষ্ঠান ও ক্লাস বর্জন করেছে।
শিক্ষকরা আন্দোলনকারীদের ফ্যাসিবাদী সমর্থক বলে অভিহিত করায় ক্ষোভ জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমাদের এ আন্দোলন কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়। এটি সবার সম্মিলিত ভবিষ্যৎ ও অধিকার রক্ষার সংগ্রাম। শিক্ষকবৃন্দ এ আন্দোলনকে রাজনৈতিক খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা করছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।”
এরই প্রতিবাদে আজ রাতে শিক্ষার্থীরা মশাল মিছিল বের করেন। রাত সাড়ে ৭ টায় পশুপালন অনুষদ চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ছাত্রী হল ও কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার সংলগ্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কৃষিবিদ চত্বরে এসে শেষ হয়। সেখানে তারা প্রতিবাদী গান ও স্লোগানের মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এসময় আন্দোলনকারীরা ‘তুমি কে আমি কে, ফ্যাসিস্ট ফ্যাসিস্ট’; ‘কে বলেছে কে বলেছে, শিক্ষক শিক্ষক’—সহ নানা স্লোগান দেন।
শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন, আগামী বুধবারের মধ্যে কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালুর লক্ষ্যে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল গঠন না করা হলে বাকৃবিতে ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি পালন করা হবে।