বাকৃবি সংবাদদাতা: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (বাকসু) নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ তফসিল ঘোষণাসহ নয় দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে শতাধিক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস থেকে মিছিল সহকারে উপাচার্যের দপ্তরে যান। পরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়ার হাতে লিখিত দাবিনামা হস্তান্তর করেন তারা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত ৯ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—
১. অনতিবিলম্বে বাকসুর পূর্ণাঙ্গ তফসিল ঘোষণা,
২. তথাকথিত মেধাভিত্তিক ছাত্রসমিতি বিলুপ্তি,
৩. পরীক্ষায় রোলবিহীন খাতা মূল্যায়ন ও খাতা চ্যালেঞ্জের সুযোগ নিশ্চিতকরণ,
৪. কারিকুলাম আধুনিকীকরণ ও ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষার সুযোগ,
৫. ক্যাম্পাসে বহিরাগত চলাচল সীমিতকরণ ও নিরাপত্তা জোরদার,
৬. হেলথ কেয়ার সেবার মানোন্নয়ন ও মেডিকেল সেন্টারকে পূর্ণাঙ্গ ২০ শয্যা হাসপাতালে রূপান্তর,
৭. হল ডাইনিংয়ে ভর্তুকি বৃদ্ধি ও মানসম্পন্ন খাবার সরবরাহ,
৮. এক্সট্রা-কারিকুলার কার্যক্রমের উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ,
৯. আবাসন সংকট নিরসন ও চলমান সংস্কার দ্রুত সমাপ্তি।
স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য এই দাবিগুলো সময়োপযোগী এবং শিক্ষার্থীদের সার্বিক কল্যাণের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। তারা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাকসু নির্বাচন আয়োজন শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী সাউদ বলেন, “এখন সময় বদলেছে, সরকার বদলেছে। তাই এটিই সুষ্ঠু বাকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়। নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে উঠলে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার সংরক্ষণ ও সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত হবে। তাই বর্তমান প্রশাসনের কাছে আমরা অবিলম্বে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাকসু নির্বাচনের জোর দাবি জানাচ্ছি।”
শিক্ষার্থীরা আরও উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন ধরে বাকসু নির্বাচন না হওয়ায় ক্যাম্পাসে প্রকৃত ছাত্র নেতৃত্বের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের সমস্যা ও দাবি প্রশাসনের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছাচ্ছে না। দ্রুত নির্বাচন হলে এ সংকট দূর হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।