Wednesday , May 14 2025

উত্তম কৃষি চর্চার মাধ্যমে মানসম্মত ফসল উৎপাদন হবে- ডিএইর পরিচালক

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল):  উত্তম কৃষি চর্চার মাধ্যমে মানসম্মত ফসল উৎপাদন হবে। ফলে কৃষি পণ্যের রপ্তানি বাড়বে। এতে দেশে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে। আর এমনি স্বপ্ন দেখাচ্ছে পার্টনার প্রকল্প। তাই জাতির কথা বিবেচনা করে আমরা মাঠে কাজ করব। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তা বাস্তবায়ন সম্ভব। মঙ্গলবার (১৩ মে) পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) সম্মেলনকক্ষে পার্টনার প্রোগ্রামের কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক মো. ওবায়দুর রহমান এসব কথা বলেন।

প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনরশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএই বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শিকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশালের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার, প্রকল্পের এডিশনাল প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ড. গৌর গোবিন্দ দাশ এবং পবিপ্রবির রেজিস্টার ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দীন।

বরিশাল সদর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রাসেল মনিরের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বরিশালের কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ কিশোর কুমার মজুমদার, প্রকল্পের কম্পোনেন্ট ডিরেক্টর (বিএডিসি অংগ) ড. মো. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী চঞ্চল কুমার মিস্ত্রী, ডিএই পটুয়াখালীর উপপরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ভোলার উপপরিচালক মো. খায়রুল ইসলাম মল্লিক, বরিশালের উপপরিচালক মোসাম্মৎ মরিয়ম, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এফ এম মামুন, ভোলার জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার ড. শামীম আহমেদ, প্রকল্পের সিনিয়র মনিটরিং অফিসার মোসা. ফাহিমা হক, ডিএই বরিশালের অতিরিক্ত উপপরিচালক মুসা ইবনে সাঈদ, বিএসআরআইর ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. রতন কুমার গনপতি, দশমিনার উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জাফর আহমেদ, কলাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আরাফাত হোসেন, পটুয়াখালী সদরের অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মোর্শেদা আক্তার মিমি, ঝালকাঠি সদরের কৃষক আল আমিন প্রমুখ। কর্মশালায় কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, কৃষক, কৃষি উদ্যোক্তা, বীজ ডিলার, কৃষিপণ্য রফতানিকারক মিলে আড়াই শতাধিক অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, পার্টনার প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে- দেশে টেকসই ও পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো। ভ্যালু চেইন সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তার মান উন্নয়ন, কৃষি রূপান্তরের জন্য প্রতিষ্ঠনসমূহ ও পলিসি আধুনিকায়ন এবং উত্তম কৃষি চর্চা। দেশের ৪ শত ৯৫ উপজেলায় এই প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। প্রকল্পের আওতায় অন্যান্য কার্যক্রমের পাশাপাশি মোট ৫০ হাজার ৩ শত ৯৫ টি কৃষিপ্রযুক্তি প্রদর্শনী স্থাপন করা হবে। এর মধ্যে চলতি বছর এ পর্যন্ত ৯ হাজার ৩ শত ৯৫ টি বাস্তবায়ন হয়েছে।

This post has already been read 132 times!

Check Also

ধান উৎপাদনে যে যন্ত্র ব্যবহারে খরচ কমছে ২৫%, ফলন বাড়ছে ১৫%পর্যন্ত!

গাজীপুর সংবাদদাতা: ব্রি উদ্ভাবিত “রাইস ট্রান্সপ্লান্টার কাম ফার্টিলাইজার অ্যাপ্লিকেটর” প্রযুক্তি ব্যবহার করে ধানের রোপণের খরচ …