
মো: আমিনুল ইসলাম (রাজশাহী) : মাসকলাই চাষের জন্য দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি উপযোগী। খরিফ-১ মৌসুমে ফেব্রুয়ারি-মার্চ এবং খরিফ-২ মৌসুমে আগস্টের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বীজ বপন করা হয়। রাজশাহী এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় মাসকলাই হতে ঐতিহ্যবাহী খাবার কালায়ের রুটি তৈরী হয়। তাছাড়াও মাস কলাইয়ের বীজ ডাল হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। মাসকলাই এর ভ’সি গরু মহিসের খাবার ছাড়াও উচ্ছিটাংশ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তাই এ অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জমিতে মাসকলাই চাষ হয়।
রাজশাহী জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় শাক-সবজিসহ মাস কলাই এর বীজ বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এ বছর রাজশাহীতে মাস কলাইয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫২৫৫ হেঃ । অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন কৃষি বিভাগ। ফলে এই বিরুপ পরিস্থিতিতে এই জেলায় মাস কলাইয়ের আবাদ হয়েছে ৪৯৩০ হে:।
রাজশাহীর পবা উপজেলার দামকুড়া ইউনিয়নের কাদিপুর ব্লকের কৃষক মো: মোখলেসুর রহমান পাখি বলেন রাস্তার ধার, পুকুরপাড়, ঈদগাহ মাঠ, ছোট আম বাগান এবং বাড়ির আনাচে কানাচে ফাঁকা জায়গাসহ অন্যান্য উঁচু পতিত জমিতে যে জমিতে অন্য ফসল হয়না, সেখানে মাস কলাইয়ের চাষ সহজেই করা যায়। এ ফসল চাষ করতে তেমন কোন ঝামেলা নেই।
পবা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো: আব্দুল মান্নান বলেন, এ মৌসুমে ১ হাজার ২০০ জন কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা হিসেবে বারি মাস-৩ জাতের বীজ ৫কেজি, ডিএপি ১০ কেজি, এমওপি ৫ কেজি এবং অন্যান্য শাক-সবজির বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মাসকলাই বাড়তি সার, সেচ, নিড়ানি, প্রয়োগ ছাড়াই একটু যতœ করলেই ঘরে তোলা যায়। রাজশাহী হতে নওগাঁ মহাসড়কের মোহনপুর উপজেলায় রাস্তার ধারে মাস কলাইয়ের সাথে অড়হর চাষ হচ্ছে যা আগামীতে এটি একটি মডেল হতে পারে।