Thursday , May 29 2025

বগুড়ায় খরা সহিষ্ণু জাতের ‘বিনা ধান-১৯’ নমুনা শস্য কর্তন অনুষ্ঠান

মো. আব্দুল্লাহ–হিল-কাফি (রাজশাহী) : বগুড়ায় নেরিকা-১০ জাত থেকে উদ্ভাবিত আউশ ধানের (জাতঃ বিনা ধান-১৯) নমুনা শস্য কর্তন অনুষ্ঠান করা হয়েছে। সোমবার (১৬ আগস্ট) সদর উপজেলার কৈচড় ব্লকের কৈচড় দক্ষিণ পাড়া গ্রামের প্রগতিশীল কৃষক মো. গোলাম রাব্বানী মানিক এর জমিতে উক্ত অনুষ্ঠান করা হয়।

জাতটি খরা সহিষ্ণু প্রচন্ড খরার সময় গাছের বাড়বাড়তি বন্ধ থাকে। আবার যখন অনুকূল পরিবেশ আসে তখন দ্রম্নত বাড়বাড়তি সম্পন্ন করে স্বাভাবিক ফলন দিতে সক্ষম। সবচেয়ে বড় বিষয় এই ধানটি আউশ ও আমন মৌসুমে চাষ উপযোগী।

এছাড়া বরেন্দ্র ও পাহাড়ী এলাকাসহ সারাদেশে বৃষ্টি নির্ভর অবস্থায় সরাসরি রোপন (ডিবলিং) উপযোগী।  সেচের পানি সাশ্রয়ী এই জাতটির জীবনকাল ৯৫-১০৫দিন। সাধারনতঃ আউশ মৌসুমে গড় ফলন ৩.৮৪ টন/হে. ও সর্বোচ্চ ফলন ৫.০ টন/হে. আর আমন মৌসুমে গড় ফলন ৫.১৬ টন/হে. ও সর্বোচ্চ ফলন ৫.৫টন/হে.। এই ধানের  চাল সরু ও লম্বা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মো. ইউছুফ রানা মন্ডল, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বগুড়া অঞ্চল, বগুড়া। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো. দুলাল হোসেন, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, বনানী, বগুড়া এবং সরকার মো. শফি উদ্দীন, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর, অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়, বগুড়া অঞ্চল, বগুড়া। এ ছাড়াও অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) ও অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান), উপজেলা কৃষি অফিসার, বগুড়া সদর, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার, বগুড়া সদর, ফাঁপোড় ইউনিয়নের তিনজন উপসহকারী কৃষি অফিসার গন, কৃষক মো. গোলাম রাব্বানী মানিক উপস্থিত ছিলেন।

নমুনা শস্য কর্তনে ২.৩০ মেঃ টন/ হেক্টর ফলন (চাউল) পাওয়া গিয়েছে। যা সন্তোষজনক বলে অতিথিগণ মন্ব্য প্রকাশ করেন।

This post has already been read 4608 times!

Check Also

স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি সহজলভ্য করতে কাজ করছে কষি তথ্য সার্ভিস

পাবনা সংবাদদাতা: কৃষি তথ্য সার্ভিস, আঞ্চলিক কার্যলয়, পাবনার আয়োজনে “Smart Agricultural Extension at Farmer’s Fingertips: …