📍 ঢাকা | 📅 রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

সুন্দরী চন্দ্রমল্লিকা এবং ডালিয়ার বাণিজ্যিক চাষাবাদ

শাম্মি আক্তার: যাঁরা বাণিজ্যিকভাবে শীতকালীন রঙিন সুন্দরী চন্দ্রমল্লিকা এবং ডালিয়া ফুলগুলি চাষ করতে চান, তাঁরা এখন নিজেদের বাগান তৈরি করুন। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এই দুই ফুলের চাহিদা প্রচুর। এগুলি ভালোই অর্থকরী। চন্দ্রমল্লিকায় বিঘাপ্রতি উৎপাদন দেড় থেকে দুই টন এবং ডালিয়ার দুই থেকে আড়াই টন।

চন্দ্রমল্লিকার ক্ষেত্রে পাপড়ির গঠন এবং ফুলের সৌন্দর্য অনুসারে এই ফুলকে সিঙ্গল, কাসকেড, ফেদারি, পমপন, স্পাইডার, স্পুন প্রভৃতি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। এই ফুলের উন্নত জাত, স্টার ফায়ার, ফেভারিট, ভেলভেট, ক্রিমসন, ইয়েলো মার্ভেল, মেলাঙ্কলি, ব্রুমাস, গ্লোব মাস্টার, স্টার ব্রাইট, ডিলাইটফুল এবং অ্যাকট্রেস। সামান্য অ্যাসিটিক মাটি অর্থাৎ মাটির পিএইচ ৬.৫-৭ হলে চন্দ্রমল্লিকার গঠন ভালো হয়।

বীজ থেকে চারা তৈরি করলে ফুল দেরিতে আসবে। এবং ফুল বড় হবে না। তাই ভালো জাতের মা গাছ থেকে কাটিং করে চারাগাছ তৈরি করতে পারলে ভালো। মাটি তৈরিতে ব্যবহার করতে পারেন পাতাপচা সার, খামারসার এবং গোবরসার। এছাড়া বিঘা প্রতি ৮ কেজি নাইট্রোজেন, ১৪ কেজি ফসফেট এবং ১৪ কেজি পটাশ দিতে হবে। ফুলে যখন কুঁড়ি আসবে তখন দেবেন বিঘাপ্রতি ৬ কেজি নাইট্রোজেন সার।

যদি সবেমাত্র চারাগাছ রোপণ করা হয়ে থাকে তবে, এক মাস বাদে তাঁরা নিড়ানি দিয়ে গাছের গোড়া আলগা করে দেবেন। মাঠের সমস্ত আগাছা তুলে ফেলে দেবেন। এরপর অবাঞ্ছিত ডালপালা ছেঁটে দেবেন তাঁরা। কুঁড়ি আসার সময় দশ লিটার পানিতে ৫ গ্রাম পটাশিয়াম নাইট্রেট ও ৫ গ্রাম অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

চন্দ্রমল্লিকা বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন সরাসরি সূর্যের আলো ও তাপমাত্রা। এর সঙ্গে দিতে হবে বারবার সামান্য সেচ। পরিচর্যায় মিলবে ভালো ফুল। চন্দ্রমল্লিকার মতো ডালিয়ার পাপড়ি গঠন এবং ফুলের সৌন্দর্য অনুসারে এই ফুলকে সিঙ্গল, পিওনি, কলারেট, স্টার, ফ্যানসি, পমপন, ডেকরেটিভ প্রভৃতি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। ডালিয়ার বহু স্তবক বিশিষ্ট বড় আকারের জাতগুলি হল, অন্নপূর্ণা, বিগবেন, গাডেন লাইট, নেলি প্রভৃতি। পমপন প্রকারের জাতগুলি হল, সিলভার ওয়েডিং, টমটম, হোয়াইট স্টার প্রভৃতি। ভালো ফুল পেতে নভেম্বরেই চারা রোপণ করে ফেলতে হবে।

Share:

Facebook
Twitter
Pinterest
LinkedIn

Comments are closed.

আরো পড়ুন