Tuesday , June 17 2025

ইরি ধানে ব্লাস্ট রোগে দিশেহারা কৃষক

মাহফুজুর রহমান (চাঁদপুর প্রতিনিধি): চাঁদপুরের কচুয়ায় ইরি ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকরা খুশি। কিন্তু বাধ সেজেছে ব্লাস্ট রোগ। ইরি ধানে নেক ব্লাস্ট রোগে মহামারি আকার ধারন করেছে। ফলে কৃষকরা দিশেহারা-নির্ঘুম হয়ে পড়েছে। দিনে গরম-রাতে ঠান্ডা, কুয়াশা, অতিবৃষ্টি, ঝড়ো হাওয়া ও অতিরিক্ত সালফার প্রয়োগের কারণে কচুয়ায় ইরি ধানে ব্যাপকভাবে নেক ব্লাস্ট ও লিফ ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

কচুয়া উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ইরি মৌসুমে ১২ হাজার ৭শ ৫ হেক্টর জমিতে ইরি ধানের চাষ করা হয়েছে। বিস্তীর্ণ মাঠ ঘুরে দেখা গেছে,  ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকের মুখে সোনালী হাসি। কিন্তু নেক ব্লাস্ট রোগ ও লিফ ব্লাস্ট রোগ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ায় কৃষকের মুখের হাসি ম্লান হয়ে যাচ্ছে। কচুয়া উপজেলার ৩৭টি কৃষি ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ মাঠে ময়দানে ছুটে গিয়ে কৃষকদেরকে উপরোক্ত রোগ হতে ধান রক্ষায় প্রয়োজনীয় (সঠিক) কীটনাশক ঔষধ প্রয়োগের জন্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।

কৃষকরা জানান, ধানের শীষ বের হওয়ার সময় শীষের নিচে কালচে দাগ পড়ে। পরে দাগগুলো বড় হয়। আক্রান্ত হওয়ার পরপরই ধানের শীষের সব ধান চিটা হয়ে সাদা দেখা যায়। তেলেস মাতিতে সারা ক্ষেত পেকে যাওয়ার মতো দেখালেও ধানের গাছের শীষে কোনো ধান আর থাকে না। পাতা ঝলসে যাওয়া ও ধান চিটা হয়ে যাওয়া এ রোগকে কৃষি বিভাগের লোকজনরা লিফ ব্লাস্ট রোগ বলে দাবী করছে।

কচুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব জানান, যেসব কারণে নেক ব্লাস্ট রোগ হয় ওই একই কারণে লিফ ব্লাস্ট রোগেরও সৃষ্টি হয়। ধানের জমিতে রোগ হোক বা না হোক শীষ বের হওয়ার আগেই জমিতে ট্রুপার বা নাটিভো, ট্রাইসাইক্লাজল গ্রুপের ফিলিয়া পরিমাণ মতো  মিশিয়ে ৫ থেকে ৭ দিন অন্তর দু’বার প্রয়োগ করতে হবে।

This post has already been read 4897 times!

Check Also

পদ্মার চরে আশা জাগাচ্ছে বিনাচিনাবাদাম-৮

মো. গোলাম আরিফ (পাবনা) : নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদীর চরাঞ্চলে সফলভাবে চাষ করা হয়েছে বাংলাদেশ …