📍 ঢাকা | 📅 রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

তেঁতুলিয়ায় বিনা তিল-২ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

পঞ্চগড় তেঁতুলিয়ায় বিনা তিল-২ এর মাঠ দিবসে বিভিন্ন অতিথিসহ উপস্থিত কৃষক-কিষাণিগণ।

কৃষিবিদ মো. আবু সায়েম (রংপুর): পরিবর্তিত আবহাওয়া উপযোগি বিভিন্ন ফসলের জাত উন্নয়ন কর্মসূচির অর্থায়নে রংপুরস্থ বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) এর আয়োজনে ও পঞ্চগড় তেঁতুলিয়া উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় তেঁতুলিয়া উপজেলার শান্তিজোড় গ্রামের নুরু মিয়ার মাঠে বিনা কর্তৃক উদ্ভাবিত স্বল্পমেয়াদী তিলের জাত বিনা তিল-২ এর ওপর গত সোমবার (৪ জুন) সকালে এক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। মাঠ দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জাহাঙ্গির আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তেঁতুলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম শাহিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি তথ্য সার্ভিস এর আঞ্চলিক কার্যালয় রংপুর এর আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আবু সায়েম, বিনা রংপুর উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ইন চার্জ কৃষিবিদ মো. তানজিলুর রহমান মন্ডল।

বিনা তিল-২ এর মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যরত তেঁতুলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম শাহিন।

প্রধান অতিথি তেঁতুলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম শাহিন বলেন তিনি নিজেও তিল সংগ্রহত্তোর ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত। তিল এ এলাকার জন্য অর্থকরী ফসল। তিল রপ্তানির জন্য বিভিন্ন ধরণের উদ্যোগ গ্রহণের ওপর তিনি গুরুতারোপ করেন।

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. তানজিলুর রহমান মন্ডল বলেন, বিনা তিল-২ এর জীবনকাল মাত্র ৯১-৯৮ দিন, ফলন স্থানীয় জাতের তুলনায় অনেক বেশি। এ তিলের দানা কালো রংয়ের। বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে কালো রংয়ের তিলের বিশেষ চাহিদা রয়েছে। এ জাত সম্প্রসারণের জন্য ৫ জন চাষি প্রত্যেককে এক একর করে প্রদর্শনী প্লট দেয়া হয়েছে। প্রদর্শনী চাষি নুরু মিয়া বলেন স্বল্প মেয়াদী, দানা কালো রংয়ের এবং সে সাথে উচ্চ ফলনশীল হওয়ায় এলাকার কৃষকদের মধ্যে ইতিমধ্যে বেশ সারা ফেলেছে।

আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আবু সায়েম বলেন পঞ্চগড়ের তিলের ইন্দোনেশিয়া, চায়না, জাপান বিভিন্ন দেশে বেশ চাহিদা রয়েছে। মাঝে স্বল্প পরিসরে কালো তিল রপ্তানি হলেও কিছু মুনাফালোভী ব্যবসায়ী বাদামী বা ধুসর রঙের তিলে কৃত্রিম রঙ মেশানোর ফলে রপ্তানি বাণিজ্যের মুখ থুবড়ে পড়ে। তবে বিনা তিল-২ জাত ভবিষ্যতে হারানো গৌরব ফেরানোর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তেঁতুলিয়া উপজেলায় এ বছর ৪৫০ হেক্টর জমিতে তিলের চাষ হয়েছে। তিনি আরো বলেন তিল চাষের আগে খরিপ-১ মৌসুমে কোন ফসল আবাদ না হলেও বর্তমানে গম-তিল-আমন বা সরিষা-তিল-আমন শস্য বিন্যাসের প্রচলন ঘটেছে। ফলে ফসলের নিবিড়তাও বেড়ে যাচ্ছে। মাঠ দিবসে ১শ জনের অধিক কৃষক-কিষাণি অংশগ্রহণ করেন।

Share:

Facebook
Twitter
Pinterest
LinkedIn

Comments are closed.

আরো পড়ুন