Tuesday 30th of April 2024
Home / অন্যান্য / যত্রতত্র গো-চারণে বিপাকে বাকৃবি শিক্ষার্থীরা

যত্রতত্র গো-চারণে বিপাকে বাকৃবি শিক্ষার্থীরা

Published at নভেম্বর ৩, ২০১৭

1মো. আরিফুল ইসলাম, বাকৃবি:
শিক্ষা ও গবেষণায় দেশসেরা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেও রয়েছে সুখ্যাতি। ক্যাম্পাসের পাশ দিয়ে বয়ে চলা পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ, বোটানিক্যাল গার্ডেন, আমবাগান জার্মপ্লাজম সেন্টার, আবাসিক হল গুলোর সামনে বিশাল সবুজ মাঠ সব মিলিয়ে যেন প্রকৃতির এক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। তাইতো এ বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রকৃতি কন্যার সাথে তুলনা করা হয়। ভর্তি পরীক্ষায় আগত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এবং বাইরে থেকে ঘুরতে দর্শণার্থী ও স্কুল কলেজ থেকে শিক্ষা সফরে আসেন অনেকে। কিন্তু এ সৌন্দর্যের মাঝে বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে যত্রতত্র গরু ছাগল চারণ চলাচল ও এদের গোবর। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের সামনের রাস্তাগুলোতে যত্রতত্র গরু ছাগলের গোবরে চলাচল করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ বিষয়ে উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন শিক্ষার্থীরা।
2
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকার অনেকে তাদের গরু ছাগল চরানোর জন্য ক্যাম্পাসের খোলা মাঠে প্রতিদিনই গরু ছাগল নিয়ে আসেন। হলের সামনের এ মাঠ ও পার্শ্ববর্তী রাস্তায় পরিনত হয় গো-চারণ ভূমিতে। ছেলেদের হলের সামনের খেলার মাঠ আর রাস্তাটা ক্রমশ গরুর হাটে পরিনত হচ্ছে। এসব গরুর গোবর যত্রতত্রভাবে মাঠে ও রাস্তায় পড়ে থাকে। শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন গোবর মাড়িয়ে চলাচল করতে হয়। বিশেষ করে বিকেল বেলা গরুরপাল আর রাস্তার উপর পড়ে থাকা গরুর গবরের জন্য রাস্তা চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পসের আশেপাশের লোকজন গরু নিয়ে ক্যাম্পাসে ভিড় করলেও এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোন মাথা ব্যথা নেই। এই অবস্থা চলতে থাকলে খুব শীঘ্রই পুরো ক্যাম্পাস গরুর হাটে পরিনত হবে।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, সামনে ভর্তি পরীক্ষা রয়েছে। অনেক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবক ক্যাম্পাসে আসবেন। এছাড়া শীতে অনেক প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা সফরে ও ঘুরতে আসেন ক্যাম্পাসে। তারা ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হলেও গরুর যত্রতত্র গোবর পড়ে থাকাটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করে। তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এ সমস্যার দ্রুত সমাধানের দাবী করেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দীন হাওলাদার বলেন, ‘আমাদের লোকবলের সংকট রয়েছে। আগে একটি খোয়ার ছিল যার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আবারো পৌরসভায় আবেদন করা হয়েছে। শীঘ্রই এবিষয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে।’

This post has already been read 2769 times!