
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) পরিচালিত ‘মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের উদ্যোগে “মহিষ পালন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রযুক্তি, খামারি পর্যায়ে প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তায়ন কৌশল ও গবেষণা ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (০৮ ডিসেম্বর ২০২৫) সকালে সাভারে বিএলআরআই প্রধান কার্যালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব জনাব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের প্রশিক্ষণটির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
বিএলআরআই ট্রেনিং ডরমিটরিতে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএলআরআই-এর মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. জিল্লুর রহমান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পরিচিতি পর্ব শেষে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও প্রযুক্তি পরীক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. ছাদেক আহমেদ। এরপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. গৌতম কুমার দেব। প্রবন্ধে তিনি প্রকল্পের লক্ষ্য, চলমান গবেষণা, অর্জিত সাফল্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন, “খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে গবেষক ও মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। গবেষণার ফল স্থানীয় পর্যায়ে পৌঁছে দিতে সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় আরও জোরদার করতে হবে।” তিনি গবেষণার মানোন্নয়নে ও গবেষণা বরাদ্দ বৃদ্ধিতে মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও আশ্বাস দেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক বলেন, “বিএলআরআই উদ্ভাবিত মহিষ প্রযুক্তিগুলো দেশের দুধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। খামারিদের মহিষ পালনে উৎসাহিত করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি নতুন উদীয়মান চরাঞ্চলের মহিষ খামারিদের বরাদ্দ প্রদানে মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
দুই দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, উপ-পরিচালক (কৃত্রিম প্রজনন) এবং উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পর্যায়ের মোট ৩০ জন কর্মকর্তা অংশ নিচ্ছেন। প্রশিক্ষণে মহিষ পালন, মাঠ পর্যায়ে প্রকল্প কার্যক্রম বাস্তবায়ন কৌশল, জনপ্রিয় ও পরীক্ষিত প্রযুক্তি এবং গবেষণা ব্যবস্থাপনা বিষয়ে হাতে-কলমে শিক্ষা প্রদান করা হবে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বিএলআরআই-এর বিভাগীয় প্রধান, দপ্তর প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, দেশীয় মহিষের জাত সংরক্ষণ ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় ‘মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন’ প্রকল্প গ্রহণ করে। ২০২০ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া প্রকল্পটির মেয়াদ প্রথমে ২০২৫ পর্যন্ত নির্ধারিত হলেও পরে তা জুন ২০২৬ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

