
নিজস্ব প্রতিবেদক: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, কৃষিতে ব্যবহৃত কীটনাশক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে হুমকি তৈরি করছে। তিনি বলেন,কীটনাশকের বিষয়টি শুধু কৃষি নয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ নীতিতেও অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত জরুরি।
(২৪ নভেম্বর) সোমবার বিকালে ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে এগ্রোইকোলজি কোয়ালিশন বাংলাদেশ, পিকেএসএফ, ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে, ওয়েভ ফাউন্ডেশন ও এফআইভিডিবি-এর যৌথ আয়োজনে ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের মৌলিক নীতিমালা: বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণ’ -শীর্ষক পলিসি ডায়ালগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা প্রাকৃতিক জলাশয় রক্ষা এবং বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছের সংরক্ষণে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মাছ ধরার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি জলাশয়ের পরিবেশগত সুরক্ষা এখন অত্যন্ত জরুরি। তিনি আরো বলেন, বাওরগুলোকে অভয়াশ্রম ঘোষণা করা গেলেও দায়িত্বজ্ঞানহীন পর্যটনের কারণে হাওর এলাকায় এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন ব্যাহত হচ্ছে। তাই এসব বিষয় পর্যটন নীতিতেও অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজন রয়েছে।
মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, খাদ্য উৎপাদনের খাত হিসেবে নীতিগতভাবে কৃষির তুলনায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে, যা পরিবর্তন জরুরি। বরেন্দ্র অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মাছ মরে যাওয়া পরিস্থিতি উত্তরণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদেরের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ আলোচনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন এফএও’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি শি জিয়াওকুন এবং বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন এগ্রোইকোলজি কোয়ালিশনের আহ্বায়ক ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী। গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর সোশ্যাল রিসার্চের গবেষণা পরিচালক আহমেদ বোরহান এবং সঞ্চালনা করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক কানিজ ফাতেমা।
এসময় সরকারি-বেসরকারি ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, এনজিও প্রতিনিধি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খামারিরা উপস্থিত ছিলেন।

