📍 ঢাকা | 📅 শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

পাবনায় গাছে গাছে চোখ জুড়ানো কাঁঠাল

আব্দুল কাইউম (পাবনা) : বর্তমানে কাঁঠালের ভরা মৌসুম, তাই গাছে গাছে ঝুলছে শুধু কাঁঠাল আর কাঁঠাল।কাঁঠাল বাংলাদেশের জাতীয় ফল। কাঁঠাল ভালোবাসে না এমন লোক পাওয়া খুবই দুষ্কর। তারপরও যদি হয় মিষ্টি ও সুস্বাদু তাহলে তো আর কিছু” বলারই থাকেনা। কাঁঠাল এর বৈজ্ঞানিক নাম ‘Artocarpus heterophyllus’।কাঁঠাল শুধুমাত্র একটি মৌসুমী ফলই নয়- সহায়ক খাদ্য ও অর্থকরী ফসল হিসেবে স্বকীয় গুণাগুনের কারণেই নিজের জায়গা করে নিয়েছে। পাবনা জেলার আতাইকুলা ইউনিয়নের  শ্রীপুর গ্রামে

পাবনার বিভিন্ন এলাকা জুড়ে ও তার আশেপাশে সর্বত্র এখন কাঁঠাল গাছগুলিতে ঝুলন্ত কাঁঠালে ছেঁয়ে আছে। কোন কোন আগাম জাতের কাঁঠালগুলি পাকতে শুরু করেছে। পাকা কাঠালের মিষ্টি গন্ধে কীট পতঙ্গরা ভিড় করছে গাছে গাছে।এছাড়া এরই মধ্যে উপজেলার হাট বাজার গুলোতে পাকা কাঁঠাল উঠতে শুরু করেছে।

এদিকে এখানকার অধিকাংশ কাঁঠাল গাছগুলো বাগান ভিত্তিক না হলেও বাড়ীর আঙিনায়, রাস্তার দু’ধারে, আর এসব গাছে ঝুলে থাকা কাঁঠলের দৃশ্য অনেকের নজর কাড়ে।অন্যান্য ফল ও গাছ নিয়ে সরকারি- বেসরকারি পর্যায়ে যত তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় কাঁঠাল নিয়ে তার সিকি ভাগও হয়না। কোন কোন পরিবার ফল মৌসুমে কাঁঠাল বিক্রি করে সারা বছরের আয় করে। ২ থেকে তিন মাস কাঁঠালের ভরা মৌসুম এসময় পাইকার ও শ্রমিক শ্রেনীর লোকদের বাড়তি আয়ের সুযোগ হয়। এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় কাঁঠালের ভাল হয়েছে । তবে ফলন বেশি হলে দাম না পাওয়ার আশংকাও রয়েছে। কারণ, বেশি ফলনে দাম পড়ে যাওয়ার রেওয়াজ আদিকালের।

সরেজমিনে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, গাছ গুলো ফলে ফলে ভরে গেছে। প্রতিটি গাছে ১৫০ থেকে ৩০০ বেশির পর্যন্ত ফল ধরেছে।প্রসঙ্গত, কৃষিপণ্য কাঁঠাল মুলত একটি মৌসুমী সুস্বাদু ফল। কাঁঠালের বিচি তরকারীতেও সমান জনপ্রিয়। এলাকায় কোন কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত করার বাবস্থা না থাকায় কৃষকরা তাদের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অবিলম্বে অত্র এলাকায় একটি কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত ব্যবস্থা গড়ে তুললে এ উপজেলার মানুষ অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে বলে মন্তব্য সচেতন মহলের।

Share:

Facebook
Twitter
Pinterest
LinkedIn

Comments are closed.

আরো পড়ুন