চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: “শিশুর যথাযথ পুষ্টি, গঠন এবং মায়ের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে মাতৃদুগ্ধদান একটি অতুলনীয় পন্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৯০% মায়েদের দুগ্ধদানের লক্ষ্য নির্ধারন করেছে। সার্বিক পুষ্টি পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য উন্নতি লাভ করলেও স্তন্যদানকারী মায়ের সংখ্যা আশংকাজনকভাবে কম। ১৯৯৪ সালে এর হার ছিল ৪৬% যা ২০১১ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৬৪ শতাংশে এবং ২০১৪ সালে এসে তা হ্রাস পেয়ে হয় ৫৫ শতাংশ। ২০১৮ সাল নাগাদ এই অনুপাত আর বাড়েনি।”শিশুর পুষ্টি অপুষ্টির বিষয়টি মায়ের বুকের দুধের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত এবং স্তন্যদান না করানোর ফলে মায়েদের ব্রেস্ট ক্যান্সার, স্থূলতা, ডায়াবেটিস ইত্যাদি নানা রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আমাদের দেশে মাতৃদুগ্ধ দানের হার বৃদ্ধি না পাওয়ার অন্যতম মাতৃদুদগ্ধ দানের উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতার অভাব। এই পরিস্থিতির পরিবর্তনে সঠিক সময়ে সঠিক নিয়মে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে জানাতে এবং মাতা-পিতাকে উৎসাহিত করতে সচেতনতা জরুরি। তারই আলোকে শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়াতে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ০৪ আগস্ট নগরীর রউফাবাদ বিহারী কলোনী এলাকায় বিশ্বমাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে র্যালী ও ভ্রাম্যমান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সমাজ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান আইএসডিই বাংলাদেশ। আর্ন্তজাতিক ভাবে পুষ্ঠি নিয়ে কর্মরত নেটওয়াকিং প্রতিষ্ঠান সিভিল সোসাইটি এলায়েন্স অব সান (Scaling Up Nutrition) সিএসএ ফর সান এর সহযোগিতায় সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির আওতায় এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।

