Tuesday 7th of May 2024
Home / প্রাণিসম্পদ / কোরবানীতে ভোক্তাবান্ধব পশুর হাট নিশ্চিতের তাগিদ চট্টগ্রাম ক্যাব’র

কোরবানীতে ভোক্তাবান্ধব পশুর হাট নিশ্চিতের তাগিদ চট্টগ্রাম ক্যাব’র

Published at জুলাই ২৪, ২০১৯

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা সমাগত। এই ঈদুল আজহার অন্যতম উপসর্গ পশু কোরবানী। আর এই কোরবানী উপলক্ষে গরু, মহিষ ও ছাগল বিক্রির মহোৎসব হয় কোরবানীর হাটে। আর এই কোরবানীর হাটে প্রায়শ স্টেরয়েড যুক্ত গরু-মহিষ আমদানি ও বিক্রি হয়ে থাকে। যা সুস্থ ও নিরাপদ নয়। একশ্রেণীর মানুষ কিছু গ্রাম্য পশু চিকিৎসকের সাহায্যে অসুস্থ গরুকে দ্রুত সুস্থ করার লক্ষ্যে এই নিষিদ্ধ ওষুধ প্রদান করে জনগণকে প্রতারিত করছে। আবার সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসন গরুর হাটগুলি ইজারা প্রদান করলেও হাটের পরিবেশ ভোক্তা বান্ধব নয়। গরুগুলিকে ৪৫ ডিগ্রি অ্যাংগেলে অমানবিক ভাবে দাঁড়িয়ে রাখা হয়। যা গরুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক ও গরু বাছাইয়ে প্রতিবন্ধক। সেকারণে কোরবানীর গরুর বাজারে যথাযথ আইন শৃংখলা রক্ষা, বাজারের পরিবেশ ভোক্তাবান্ধব করা, স্টেরয়েড যুক্ত গরু বিক্রি বন্ধ করা, ক্রেতারা যাতে সুস্থ গুরু বাছাই ও কিনতে পারে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পরিবেশ নিশ্চিতে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা-উপজেলা প্রশাসন, প্রাণিসম্পদ অফিস ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সার্বিক উদ্যোগ দাবি করা হয়। একই সাথে ক্রেতারা যাতে সুস্থ গরু বাছাই করে কিনতে পারে সে জন্য কোরবানীর হাটে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ও ক্যাব যৌথভাবে প্রচারনা কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বুধবার (২৪ জুলাই) নগরীর খুলসীতে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ক্যাব’র পোল্ট্রি সেক্টরে সুশাসন প্রকল্পের উদ্যোগে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সাথে অনুষ্ঠিত অ্যাডভোকেসী সভায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক জসিম, আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, বিটিশ কাউন্সিল প্রকাশ প্রকল্পের অ্যাডভাইজর কামরুন্নেসা নাজলী, ক্যাব কেন্দ্রিয় কার্যালয়ের প্রকল্প সমন্বয়কারী রেজাউল করিম, থানা পশু সম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাকিয়া আকতার, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, চট্টগ্রাম নগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, ক্যাব পাঁচলাইশের সায়মা হক, সেলিম জাহ্ঙ্গাীর, সেলিম সাজ্জাদ, জান্নাতুল ফেরদৌস, মহিলা খামারী তাজনুর বেগম, ক্ষুদ্র ফিড ব্যবসায়ী যোবাইর আহমদ, ক্ষুদ্র পোল্ট্রি খামারী জসিম উদ্দীন, মো. রফিক প্রমুখ।

সভায় আরো বলা হয়, নিরাপধ খাদ্য নিশ্চিতে খামারীর উৎপাদন থেকে শুরু করে পরিবহন, বাজারজাতকরণ, গুদামজাতকরণ ও রান্নায় পরিবেশন পর্যন্ত নিরাপদ খাবারের যাবতীয় নিয়মগুলি কঠোরভাবে মেনে চলা না হলে নিরাপদ খাবারও অনিরাপদ হয়ে যেতে পারে। যত্রতত্র ক্ষুদ্র পোল্ট্রি বিক্রেতারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মুরগি বিক্রি করার কারণে নানা রকম রোগ জীবাণুতে আক্রান্ত হয়ে পোল্ট্রি মুরগি অনিরাপদ হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি বারবার তাদেরকে জানানোর পরও মুরগি জবাই ও সংরক্ষণ ব্যবস্থায় উন্নয়ন হয়নি। সেকারণে ক্ষুদ্র পোল্ট্রি বিক্রেতাদের বিক্রয় কেন্দ্রে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিতে ক্যাব,  প্রাণিসম্পদ অফিস, জেলা প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সাথে যৌথ মনিটরিং জোরদার করা, তাদের আচার-আচরন অভ্যাস পরিবর্তনে আরো কর্মসূচি নেবার তাগিদ দেয়া হয়।

This post has already been read 2001 times!