Tuesday 19th of March 2024
Home / সাক্ষাৎকার / কৃষকরা আমাদের স্পন্দন, দেশের হৃৎপিন্ড -সুস্মিতা আনিস

কৃষকরা আমাদের স্পন্দন, দেশের হৃৎপিন্ড -সুস্মিতা আনিস

Published at মে ৪, ২০১৯

এসিআই ফরমুলেশনস লিমিটেড। বাংলাদেশ কৃষি সেক্টরের অন্যতম বৃহৎ এবং স্বনামধন্য একটি প্রতিষ্ঠান। দেশের কৃষির আধুনিকায়ন এবং ভিন্নধর্মী নানা উদ্যোগের জন্য প্রতিষ্ঠানটির সুনাম এবং স্বতন্ত্র এক বৈশিষ্ট রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকাণ্ড, কৃষি ও কৃষকের বর্তমান সমস্যা ও করণীয় এবং উন্নয়নে উদ্যোগ, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ইত্যাদি খুঁটিনাটি নানা বিষয় নিয়ে এগ্রিনিউজ২৪.কম এর সাথে কথা হয় এসিআই ফরমুলেশনস লিমিটেড –এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুস্মিতা আনিস এর সাথে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এগ্রিনিউজ২৪.কম -এর সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী মো. খোরশেদ আলম (জুয়েল), শ্রুতি লিখনে ছিলেন সহকারি সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম সোহেল। সম্মানিত পাঠকদের উদ্দেশ্যে সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ এখানে তুলে ধরা হলো-

এগ্রিনিউজ২৪.কম: এসিআই ফরমুলেশনস সম্পর্কে জানতে চাই?

সুস্মিতা আনিস: আমাদের প্যারেন্ট কোম্পানি, বর্তমানে যেটি এসিআই লিমিটেড নামে পরিচিত তার পূর্ব নাম ছিলো আইসিআই। ১৯৯২ সালে আইসিআই থেকে এসিআই নামকরণ করা হয়। আইসিআই ফ্যাক্টরি ছিল নারায়ণঞ্জে। সেখানে শুধু মানব স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ওষুধ তৈরি করা হতো। ১৯৮৬ সনে সেটিকে গাজীপুরে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানে এসিআই ফরমুলেশনস ফ্যাক্টরি তৈরি করা হয়। ২০০৫ সালে এসিআই ফরমুলেশনস লিমিটেড পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে অনুমোদন পায়। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো ক্রপ কেয়ার ডেভেলপমেন্টের জন্য কাজ করা। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের হিসেবে অনুযায়ী এসিআই ফরমুলেশনস এর মোট শেয়ারের ৫৯.২০% রয়েছে ক্রপ কেয়ার অ্যান্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের, বাকী অংশগুলোর মধ্যে রয়েছে মশার কয়েল (১১.৯৫%), টয়লেট ক্লিনার (১.৫১%), এ্যারোসল (১৭.৯৩%) এবং পেইন্ট (৯.৪১%)।

বর্তমানে দেমোট কৃষির বাজারমূল্য প্রায় ৩ হাজার বিলিয়ন টাকা। দেশে এগ্রো কেমিক্যাল শিল্প প্রতিবছর ৫% হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে; যেখানে এসিআই ক্রপ কেয়ারের CAGR রয়েছে ১৮%। বর্তমানে এই খাতে ২৫০টিরও বেশি নিবন্ধিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানে আমাদের মার্কেট শেয়ার ১১%। দানাদার কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক ক্যাটাগরিতে দেশের বাজারে আমার নেতৃত্বস্থানীয় অবস্থানে রয়েছি এবং তাৎপর্যপূর্ণ অবস্থানও ধরে রেখেছি।

দেশীয় কোম্পানিগুলোর মধ্যে আমরাই প্রথম ISO: 9001 সার্টিফিকেট অর্জন করি। পরবর্তীতে ISO:14001পরিবেশ সনদ অর্জন করি। আমরা সবসময় চেষ্টা করি, আমাদের কোম্পানির প্রতিটি সদস্যের মেধা, জ্ঞান ও বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সমন্বয় ঘটিয়ে আমাদের পণ্যের গুণগত মান ঠিক রাখার। এসিআই সবসময় নতুন নতুন প্রযুক্তি এনে ক্রমান্বয়ে আমাদের সিস্টেম এবং প্রসেসকে উন্নত করার চেষ্টা করে।

এগ্রিনিউজ২৪.কম: ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে এসিআই ফরমুলেশনস যোগদান করেছেন কত সনে?

সুস্মিতা আনিস: মূলত ২০০০ সালে আমি প্রথমে এসিআই লিমিটেড -এ পরিচালক হিসেবে এসিআই বোর্ডে যোগদান করি। ২০১২ সন থেকে এসিআই ফর্মূলেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।

এগ্রিনিউজ২৪.কম: দেশের কৃষি ও কৃষকদের নিয়ে এসিআই ফরমুলেশনস ও আপনার চিন্তাভাবনার ব্যাপারে জানতে চাই?

সুস্মিতা আনিস: শুধু ব্যবসা নয়, এসিআই সবসময় দেশের কৃষি ও কৃষকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে। আমাদের পরিকল্পনাতে সবসময় থাকে কিভাবে এদেশের কৃষিকে আধুনিক ও উন্নত করা যায়। আমরা এদেশের কৃষকদের সমৃদ্ধশালী হিসেবে দেখতে চাই। কৃষকের ফসলের উৎপাদন বাড়ানো আমাদের লক্ষ্য যাতে সে অর্থনৈতিক দিক থেকে লাভবান হয়। পরিবারসহ যাতে তারা স্বচ্ছল জীবন যাপন করতে পারে।

আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো, আমাদের দেশের কৃষককে কিভাবে তাদের পরিশ্রমের ন্যায্য মূল্য দেয়া যায়। আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি যেনো কৃষকরা তাদের কষ্টার্জিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পান। তারা যেনো ফসল চাষ করে, বাজারে সেই ফসল বিক্রি করে লাভবান হতে পারে, স্বাবলম্বী হতে পারে, তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দেশের একজন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে সেই উদ্দেশ্যেই আমরা কাজ করছি।

আমি সব সময় আমাদের কৃষকদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করি। একটা দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ নিয়ে, তাদের কাছাকাছি থেকে তাদেরকে লাভবান করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

দিন দিন কিন্তু দেশের জনসংখ্যা বেড়েই চলেছে। এর ফলে আমাদের চাষের জমি কমে যাচ্ছে। এজন্য আমাদের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। ভিয়েতনামে যেখানে ধানের প্রোডাক্টিভিটি বছরে ৮ বার সেখানে আমাদের প্রোডাক্টিভিটি ৩.৫ বার। তাই আমাদের উৎপাদন আরো বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি। এ ব্যাপারে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।

এগ্রিনিউজ২৪.কম: আপনার নিশ্চয়ই দেশের মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের সাথে সরাসরি কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। এক্ষেত্রে তাদের মূল সমস্যা বা ভুলটা কোথায় আছে বলে মনে করেন?

সুস্মিতা আনিস:  আমাদের কৃষকরা অনেক সময় খুব দ্রুত ফলাফল দেখতে চায়, যেমন- আগাছানাশক ব্যবহারে ঔষধ দিলেই পরের দিন তার প্রভাব চায়। সেক্ষেত্রে অনেক সময় প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ডোজের ঔষধ দেয়া হয়। তারা মনে করেন, এতে করে তাদের চাষকৃত ফসল বেশি সুরক্ষিত থাকবে। ফলে না বুঝেই লেবেলের নির্দেশিকা না মেনে ঘন ঘন স্প্রে করে। এতে করে তারা আর্থিকভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি ফসলকে করে তুলে অনিরাপদ।

এগ্রিনিউজ২৪.কম: এক্ষেত্রে কৃষকদের সচেতন করার জন্য আপনাদের কোম্পানির পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ রয়েছে?

সুস্মিতা আনিস: অবশ্যই। আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই আমরা এটি করে থাকি। তাছাড়া আমার মনে করি, টেকসই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য কৃষকদের শিক্ষিত ও  সচেতন করে তোলার কোন বিকল্প নাই। এজন্য এসিআই’র পক্ষ থেকে বিভিন্ন মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়। লিফলেট বা অন্যান্য প্রচারনাতো রয়েছেই। আমাদের মাঠকর্মীরা তাদের কাছে যেয়ে হাতে কলমে বুঝিয়ে দেন অনেক কিছু।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে মিলে এসিআই ক্রপ কেয়ার বালাইনাশকের সঠিক ব্যবহার শিক্ষা দেই। বিসিপিএ (Bangladesh Crop Protection Association) একই কাজ স্বাধীনভাবে করছে। সারাদেশে আমাদের ১ হাজারেরও বেশি মাঠকর্মী রয়েছে। আমরা ‘ফসলি’ নামে একটা অ্যাপস তৈরি করেছি যা কৃষকদের জন্য খু্বই যুগপযোগী help. এই অ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষকরা আগে থেকেই জানতে পারবে কখন বৃষ্টি হবে, বাতাসে আজকের আর্দ্রতা কেমন হবে, কোনো ফসলের রং পরিবর্তন হলে কি করতে হবে ইত্যাদি নানা খুঁটিনাটি বিষয় তারা আগাম জানতে পারবে এবং তার সমাধানও পাবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে। সমস্ত কিছু তারা এই এ্যাপস থেকেই জানতে পারবে। এজন্য আমাদের রয়েছে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ কর্মীবাহিনী। তারা মাঠে গিয়ে কৃষকদেরকে হাতে ধরে বুঝিয়ে দেয় কিভাবে কি করতে হবে। বাংলাদেশে একমাত্র আমরাই এই উদ্যোগ নিয়েছি।

আমাদের মাঠকর্মীরা সরাসরি কৃষকদের সাথে কাজ করে। আমরা প্রতি বছর কৃষকদের নিয়ে মাঠ দিবসের আয়োজন করি। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসেও হয়ে গেলো। আমি সেখানে নিজেও উপস্থিত থাকি।

আমরা চেষ্টা করছি তাদেরকে বুঝাানোর এবং সচেতন করার। তাদের এই যে মানসিকতা, সেটাতো একদিনেই পরিবর্তন করা যাবে না। সময় লাগবে। তবে আমরা আশাবাদী।

এগ্রিনিউজ২৪.কম: পেস্টিসাইড বা কীটনাশক –এর ক্ষতিকারক দিক নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে। ব্যাপারে আপনার বক্তব্য জানতে চাই?

সুস্মিতা আনিস: দেখুন, আমরা যদি ফসলে পেস্টিসাইড ব্যবহার না করতাম তাহলে কিন্তু আমাদের প্রায় ৪০% ফসল নষ্ট হয়ে যেতো। সমস্যাটা কিন্তু পেস্টিসাইড বা কীটনাশক নয়, সমস্যাটি হচ্ছে এর সঠিক ব্যবহারে। আমাদের বুঝে শুনে পেষ্টিসাইড ব্যবহার করতে হবে। যেমন- একজন মানুষ যখন অসুস্থ হয় সে কিন্তু ডাক্তারে কাছে যায়। ডাক্তার তাকে রোগের ধরন বুঝে ঔষধ দেয়। সে ওষুধও কিন্তু এক প্রকারের বিষ। কিন্তু সেটাকে যদি সঠিক নিয়ম মেনে কোন রুগী খায় বা ব্যবহার করে তাহলে সে সুস্থ হয়ে উঠবে। কিন্তু সে  যদি একবারেই এক বোতল একসাথে খেয়ে ফেলে তাহলে কি তার অসুখ ভালো হবে? উল্টো সে মারা যাবে।

সুতরা, আমাদের কৃষকদের বুঝেশুনে ফসলের জমিতে ওষুধ দিতে হবে। কীটনাশকের কৌটা বা বোতলের গায়ে লেখা নিয়ম সঠিকভাবে চর্চা করতে হবে। কীটনাশক ব্যবহারের পর উইথড্রল পিরিয়ড মেনে চলতে হবে্। তাহলেই তাদের ফসল ভালো হবে এবং মানুষ নিরাপদ একটা ফসল বা সবজি পাবে।

তবে আমরা বায়ো কেমিকেল আনার চেষ্টা করছি। কিন্তু এটা তো একদিনেই সম্ভব না। ধীরে ধীরে করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার এবং আরো যে কোম্পানিগুলো আছে তাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছে তাদের সাথে আমরা প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে টিকে আছি। এটা কিন্তু সহজ কাজ না।

এগ্রিনিউজ২৪.কম: আমাদের দেশে পেস্টিসাইড পুরোটাই প্রায় আমদানি নির্ভর। আপনাদের মতো বৃহৎ পুঁজির কোম্পানিগুলো নিজেরাই উৎপাদন করতে সমস্যাটা কোথায় তাহলে?

সুস্মিতা আনিস: অনেক দিন ধরেই আমরা চেষ্টা করছি, কিভাবে আমাদের দেশেই পেস্টিসাইড তৈরি করা যায়। আমাদের আছে সর্বোচ্চ মানের ইটিপি (ETP) রয়েছে। সরকারের কাছে আমরা অনেক আগে থেকেই এর অনুমোদন চাচ্ছি। কিন্তু আমরা এখনো অনুমোদন পাচ্ছি না। তাছাড়া কাঁচামাল তো আর আমাদের দেশে উৎপাদন হয় না। চায়না এবং ইন্ডিয়া কিছু কিছু উৎপাদন করে। আমরা চেষ্টা করছি কাঁচামাল কিভাবে আমদানি করা যায়।

এ ব্যাপারে আমাদের বর্তমান ডিজি মহোদয় এবং মাননীয় কৃষিমন্ত্রী কিন্তু খুবই আন্তরিক। সমস্যা হলো একজন ডিজিতো সবসময় থাকেনা। ডিজি আসে আবার পরিবর্তনও হয়। এজন্য একজন যদিও পদক্ষেপ নেন আরেকজন এসে হয়তো সেটার কথা আর খেয়াল থাকেনা। এজন্যও আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। তবে আশা করি, শীঘ্রই এটি আমরা করতে পারবো।

এগ্রিনিউজ২৪.কম: আমাদের কৃষকদের আপনি কীভাবে এবং কোন পর্যায়ে দেখতে চান?

সুস্মিতা আনিস: আমি কৃষকদের লাভবান দেখতে চাই। কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবেনা -এটি আমাকে কস্ট দেয়। আমি চাই তাদের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে। খাদ্যের স্বয়ংসম্পূর্ণতা এবং কৃষকের ডান হাত হয়ে কাজ করতে চাই আমি। সব সময় তাদের পাশে থেকে কাজ করতে চাই। কৃষকের মুখে সুখের হাসি দেখতে চাই এবং ভবিষ্যতে তাদের ছেলেমেয়েরা আরো উপরে উঠে আসুক। এর মধ্যে একটা প্রাণ আছে। কৃষকরা আমাদের স্পন্দন, দেশের হৃদপিন্ড।

এগ্রিনিউজ২৪.কম: দেশের সার্বিক কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে কি করা উচিত বলে আপনি মনে করেন?

সুস্মিতা আনিস: আমাদের মনে রাখতে হবে, একার পক্ষে কারো কিছুই করা সম্ভব না। এক্ষেত্রে পাবলিক লিমিটেড এবং প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি যৌথভাবে কাজ করতে হবে। তাছাড়া আমি মনে করি যদি কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এক সাথে কৃষি সেক্টরের জন্য কাজ করে তাহলে আমাদের দেশের কৃষি আরো দ্রুত উন্নত হবে এবং কৃষকরা তাদের ন্যায্যমূল্য পাবে। যারা এগ্রিবিজনেস নিয়ে কাজ করেন তারা যদি একটা টার্গেট অরিয়েন্টেড নিয়মে কাজ করে তাহলে কিন্তু একটা ভালো কিছু করা সম্ভব।

এগ্রিনিউজ২৪.কম: মূল্যবান সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

সুস্মিতা আনিস: আপনাকেও ধন্যবাদ।

This post has already been read 17667 times!