মঙ্গলবার , ডিসেম্বর ৩ ২০২৪

কুষ্টিয়ায় আউশ –এর আবাদ বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা সহায়তা বিতরণ

মো. এমদাদুল হক (পাবনা): কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় আউশ মৌসুমের ধান চাষ বৃদ্ধির জন্য ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা সহায়তা দেয়া হয়। এ উপলক্ষে সোমবার (১৫ এপ্রিল) উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে কৃষি অফিস চত্বরে ২ হাজার ১শ ৫০জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসনায়িক সার বিতরণ এর কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।

মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জামাল আহমেদ -এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রমেশ চন্দ্র ঘোষ, উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জোয়ার্দ্দার, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সাবিহা সুলতানা, জেলা পরিষদের সদস্য মুহাম্মদ আলী জোয়ার্দ্দার, মিরপুর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি কাঞ্চন কুমার ও উপসকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং প্রায় শতাধিক কৃষকগণ।

উপজেলা কৃষি কর্মকতা কৃষিবিদ রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, কৃষির উন্নয়নের জন্য সবরকম প্রচেষ্ট চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের নিকট যে কোনো প্রযুক্তি ও আর্থিক সুবিধা আসলে যতো  দ্রুত সম্ভব কৃষদের মাঝে পৌছে দিয়ে থাকি। কৃষির যে কোনো সমস্যা সমাধানে উপজেলা কৃষি অফিস ও উপসহকারি কৃষি অফিসারের নিকট যোগাযোগের অনুরোধ জানান। তিনি কৃষকদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, আউশ আবাদ দিন দিন বৃদ্ধি করতে হবে। কারণ আউশ আবাদে কৃত্রিম সেচ কম দিতে হয়। এজন্য আউশ আবাদে খরচও কম হয়। বর্তমান সময়ে পানির স্তর দিনদিন নেমে যাওয়ার যে প্রবণতা দেখা দিয়েছে তা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জোয়ার্দ্দার বলেন, সরকারের সূদূর প্রসারী পরিকল্পনা এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষকদের অর্থনৈতিক অবস্থা মজবুত করার লক্ষে নানাবিধ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সার, বীজ, কীটনাশক এবং সেচের সুষ্ঠু ব্যবহারে কৃষির উন্নয়ন এগিয়ে চলেছে। এ সরকারের দক্ষ এবং কৌশলী কৃষি নীতি গ্রহণের ফলে কৃষিতে অভূতপূর্ব সফলতা এসেছে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের কৃষি আজ ঈর্শ্বনীয় অবস্থানে রয়েছে। তিনি আগত সকল কৃষককে যার যতোটুকু জমি আছে তাতেই কৃষি বিভাগের পরামর্শ মোতাবেক উন্নত আবাদের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের আহ্বান জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জামাল আহমেদ বলেন, আমাদের জীবিকা নির্বাহের প্রধান মাধ্যম হলো কৃষি। এর গুরুত্ব অপরিসীম। যেহেতেু এই পেশাতে সবচেয়ে বেশি লোকের কর্মসংস্থান সেহেতু অতীতের কৃষি ছেড়ে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি চাষাবাদ করার অনুরোধ জনান তিনি।

উল্লেখ্য, এ বছর আউশ মৌসুমে মিরপুর উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নে ও পৌরসভার ২ হাজার ১শ ৫০জন কৃষক আউশ প্রণোদনা পাবেন। প্রতিজন কৃষক বিনামূল্যে ৫ কেজি উফশী আউশ ধান বীজ, ১৫ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি এমওপি সার পাবেন।

This post has already been read 5326 times!

Check Also

আমন ধানে ব্রাউন প্ল্যান্ট হপার আক্রমণ: ফলনের ক্ষতি ও করণীয়

ড. মো. মাহফুজ আলম: বাংলাদেশে ধান প্রধান ফসল হিসেবে পরিচিত এবং এর উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির …