Thursday , July 17 2025

স্থানভিত্তিক ধানের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন কার্যক্রম এগিয়ে চলছে

গাজীপুর সংবাদদাতা: ব্রিতে স্থানভিত্তিক ধানের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং বিদ্যমান গবেষণাগার উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে নতুন আঞ্চলিক কার্যালয় ও স্যাটেলাইট স্টেশন স্থাপন, গবেষণা ল্যাব উন্নয়ন, ব্রি উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহ দ্রুত কৃষক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে প্রযুক্তি গ্রাম সৃষ্টি, স্থানীয়ভাবে জার্মপ্লাজম সংগ্রহ, ব্রি অবমুক্ত জাতের গড় ফলন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের বীজ উৎপাদন, বীজ প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণ, কার্যকরী গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের লক্ষ্যে ব্রি’র জনবলের উচ্চ শিক্ষা এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর ও দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মীসহ ব্রির জনবল এবং কৃষকের প্রশিক্ষণ চলমান রয়েছে।

শনিবার (২১ জুন) গাজীপুরস্থ ব্রি সদর দপ্তরে ‘নতুন ৬টি আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে স্থানভিত্তিক ধানের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং বিদ্যমান গবেষণাগার উন্নয়ন (এলএসটিডি)’ শীর্ষক প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিষয়ক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।

ব্রি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ব্রির মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা অনুবিভাগ) মো. মাহবুবুল হক পাটওয়ারী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রির পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. রফিকুল ইসলাম এবং পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. মুন্নুজান খানম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোফাজ্জল হোসেন।

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে পরিবর্তিত জলবায়ুর সাথে মিল রেখে স্থানভিত্তিক ধানের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও উন্নয়নসহ ব্রির মূল গবেষণা কার্যক্রমকে সহায়তা করাই এলএসটিডি প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। আঞ্চলিক কার্যালয় এবং স্যাটেলাইট স্টেশন স্থাপন ছাড়াও এ প্রকল্পের উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে স্থানভিত্তিক ৬টি নতুন জাত এবং ২০টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন। স্থানভিত্তিক সমস্যা নিরুপণ (কৃষিতে অনগ্রসর দক্ষিণাঞ্চল ও পাহাড়ি এলাকাসহ) কার্যকরী সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ এবং প্রয়োগিক গবেষণা জোরদারকরণ। ব্রির বিদ্যমান ১১টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের গবেষণা ল্যাব জোরদারকরণ এবং প্রস্তাবিত আঞ্চলিক কার্যালয়ে গবেষণা ল্যাব উন্নয়ন। সারাদেশে মোট ১৫টি ‘প্রযুক্তি গ্রাম’ সৃষ্টির মাধ্যমে ব্রি উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহ দ্রুত সময়ে কৃষক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। মূল প্রবন্ধে প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরে জানানো হয়, ১টি জাতের উদ্ভাবন প্রক্রিয়াধীন এবং ৫টি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের কাজ চলমান। এছাড়াও ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় এবং কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় প্রাথমিকভাবে ১৫টি প্রযুক্তি গ্রাম নির্বাচন করা হয়েছে। প্রযুক্তি গ্রামগুলোতে ‘‘সার্ভিস প্রোভাইডার’’ নির্বাচন করে ব্রি উদ্ভাবিত প্রযুক্তির প্রদর্শনী এবং কৃষকদের প্রযুক্তি বিষয়ক কলাকৌশলগত সেবা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। ব্রি উদ্ভাবিত উফশী আমন জাতের ধান চাষাবাদে উদ্বুদ্ধকরণে স্থানীয় কৃষকদের জন্য ১৬৫টি মাঠ দিবস ও ফসল কর্তন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।

This post has already been read 217 times!

Check Also

অচিরেই কৃষি জমি সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা হবে -কৃষি উপদেষ্টা

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা: কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, দেশের …