ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা) : ভারতীয় পণ্যবাহী জলযানের কয়রা উপজেলার আংটিহারা নৌ-সীমান্ত মোংলা ও নওয়াপাড়া বন্দরে আসতে খুলনার নদী ব্যবহারে নৌ কর্তৃপক্ষ সতর্কবার্তা দিয়েছে। বার্তার উল্লেখযোগ্য দিক ১৯০ কিলোমিটার নৌপথে পূর্ণ জোয়ারে চলাচল, নদীতে নিমজ্জিত জাহাজের স্থান ও চরাপড়া স্থানে এড়িয়ে চলা। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে রায়মঙ্গলের পর থেকে পণ্যবাহী নৌযানে বিআইডব্লিউটিএ পাইলটের সাহায্য নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। রায়মঙ্গলের নৌ সীমান্ত অতিক্রম করে কয়রার আংটিহারা দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১৫ টি নৌযান মোংলা ও নওয়াপাড়ায় আসছে।রায়মঙ্গল নদী দিয়ে প্রতিদিন ফ্লাইওয়াশ চাল ও স্টিল পাত বোঝাই জাহাজ মোংলা ও নওয়াপাড়ায় নৌবন্দরে আসছে। নদীতে জাহাজ নিমজ্জিত স্থানে রেক বয় স্থাপন করা হয়েছে। পাইলটদের এ বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়েছে, পীর খানজাহান আলী (র) সেতুর ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের মধ্যে দিয়ে নদীর পানির স্রোতে গতিবিধি দেখে সতর্কতার সাথে ওয়ানওয়ে পদ্ধতিতে নৌযান চলাচলের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ২০১৬ সালের দুঘর্টনার পূনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সেজন্য সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে শ্যালা নদীতে সবধরণের বানিজ্যিক নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। মোংলা- ঘষিয়াখালি নৌরুট ব্যবহার করতে হবে।
খুলনা নৌ বন্দর যুগ্ন পরিচালক মোঃ আশরাফ হোসেন জানান, জোয়ারের সুবিধা নিয়ে নৌযানগুলোকে চলাচল করতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে সতর্কবার্তায় নদীর জাহাজ নিমজ্জিত স্থান ও চড়া স্থানগুলো এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। আংটিহারা নৌ-সীমান্তের পাইলট জাহাঙ্গীর আলম জানান, রায়মঙ্গল থেকে মোংলা ও নওয়াপাড়া আসতে স্থানীয় নদ নদী সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা হয়।

