Tuesday , June 17 2025

সপ্তাহে প্রান্তিক খামারিদের ১৭৬ কোটি টাকার দুধ, ডিম ও পোল্ট্রি বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা সংকটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভ্রাম্যমান বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে দুধ, ডিম ও পোল্ট্রি বিক্রিতে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। একইসাথে উদ্যোগটি খামারি ও ভোক্তাদের নিকট প্রশংসিত হচ্ছে। প্রাণিসম্পদ দপ্তরসমূহের তত্ত্বাবধানে গত ২৫ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত একসপ্তাহে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে সারাদেশে খামারিগণ তাদের উৎপাদিত ১৭৬ কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার ৪৮ টাকার দুধ, ডিম ও পোল্ট্রি বিক্রি করেছে। এর মধ্যে ১ কোটি ২৯ লাখ ৭৩ হাজার ৭ শত ৬ লিটার দুধ, ৫ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার ৯ শত ৩১টি ডিম, ৬৬ লাখ ২ হাজার ৩ শত ৬৯টি মুরগি এবং ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৭ শত ৮৮টি অন্যান্য পণ্য বিক্রি হয়েছে।

এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন আজ (১ মে) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের চাষী, খামারি এবং উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত মাছ, দুধ, ডিম ও পোল্ট্রি সুষম সরবরাহ ও বাজারজাত করার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সকল জেলা ও উপজেলায় কর্মরত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। করোনা পরিস্থিতিতে বাজারজাতকরণ সংকটে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উৎপাদক, খামারি ও উদ্যোক্তাদের কথা মাথায় রেখে এবং ভোক্তাদের প্রাণিজ পণ্য প্রাপ্তির চাহিদা বিবেচনা করে এ নির্দেশনা প্রদান করা হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশন, উদ্যোক্তা ও খামারিদের সহযোগিতায় স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে এ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বলা হয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।

This post has already been read 4598 times!

Check Also

গবাদিপশু ও পোল্ট্রির উপজাত ব্যবহার: ফিড শিল্পে হাজার কোটি টাকা সাশ্রয়ের সম্ভাবনা!

নিজস্ব প্রতিবেদক: গবাদিপশু ও পোল্ট্রির উপজাত পণ্য হতে পোল্ট্রি ও ফিস ফিড উৎপাদনের সম্ভাবনা (Potential …