Tuesday 23rd of April 2024
Home / ফসল / প্রথমবারের মতো ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে তিন দিনব্যাপী ’বাংলাদেশ সীড কংগ্রেস’

প্রথমবারের মতো ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে তিন দিনব্যাপী ’বাংলাদেশ সীড কংগ্রেস’

Published at ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩

সংবাদ সম্মলনে বক্তব্য রাখছেন সাবেক কৃষি সচিব ও সীড কংগ্রেসের প্রধান সমন্বয়কারী আনোয়ার ফারুক।

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ১১- ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে তিন দিনব্যাপী ’বাংলাদেশ সীড কংগ্রেস’। রাজধানীর আগার গাঁও -এ অবস্থিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উক্ত কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশে সীড এসোসিয়েশন ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত মেলা সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) তে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মলনে সাবেক কৃষি সচিব ও সীড কংগ্রেসের প্রধান সমন্বয়কারী আনোয়ার ফারুক বলেন, আমাদের সরকার প্রণীত বীজনীতি, বীজ আইন ও বীজ বিধিমালা প্রণয়নের মাধ্যে বেসরকারি খাত বীজ ব্যবসায় এগিয়ে আসতে থাকে। বেসরকারি বীজ ব্যবসায়ীরা এ সময় বিদেশ হতে উন্নতমানে হাইব্রিড সবজি বীজ আমদানি করে বাজারজাত করতে থাকে। ১৯৯৯ সালে বর্তমান সরকার হাইব্রিড ধান বীজ অবমুক্তির মধ্য দিয়ে এদেশে বীজ ব্যবসায় বেসরকারি খাতের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। ২০০০ সাল থেকে বেসকারি বীজ ব্যবসার কলেবর উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে থাকে, দেশে মানসম্পন্ন বীজের ব্যবহারও বাড়তে থাকে ২০০৯ সালে দেশের মোট বীজের চাহিদার ২০% ছিল মানসম্পন্ন বীজ, বর্তমানে এ হার ৩৩% উন্নীত হয়েছে। আলু, সবজি, ভুট্টা, ধান, পাট বীজ ইত্যাদি ফসলের ক্ষেত্রে এ হার ৫৯.২%। দেশে এখন মোট বীজের প্রয়োজন ১২৫৪৮৩৬ মেট্রিক টন যার মধ্যে শুধুমাত্র আলু বীজের প্রয়োজনই হয় ৭৮৬৮৮৫ মেট্রিক টন। আলু বীজের মানসম্পন্ন বীজের ব্যবহার ১৬.৩৮%।

তিনি বলেন, বেসরকারি খাত বীজ শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দেশের মোট সরবরাহের ৫৩% বীজ সরবরাহ করে বেসরকারি খাত। ধান বীজের ৪৪%, হাইব্রিড ধানের ৯৭%, ভুট্টার ৯৯ সবজি বীজের ৮৬%, আলু বীজের ৭৪%, পাট বীজের ৮৩% বীজ সরবরাহ করছে বেসরকারি খাত।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ সীড কংগ্রেস ২০২৩ এ প্রায় এক হাজার দেশি-বিদেশি বিজ্ঞানী, ডিলার, বীজ ব্যবসায়ী, বীজ শিল্প প্রতিষ্ঠান, কৃষিবিদ, ব্যাংকার, শিক্ষক ও কৃষক প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়াও ৫০ জন বিদেশি প্রতিনিধিও থাকবেন। মেলায় ১৩টি প্যাভিলিয়ন ও ৬০টি স্টল থাকবে যার মধ্যে ১০টি বিদেশি স্টল থাকবে এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল প্রতিষ্ঠান স্টল সহ ফেলায় অংশগ্রহণ করবে।

আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করবেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মাইকেল কেলার, সেক্রেটারি জেনারেল, ইন্টারন্যাশনাল সীড ফেডারেশন (ISF), ড. মানিশ প্যাটেল, সভাপতি, এশিয়া এন্ড প্যাসিফিক সীড এসোসিয়েশন (APSA) ও  রবার্ট ডি. সিমসন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) বাংলাদেশ প্রতিনিধি।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ইমেরিটাস প্রফেসর ড. এম এ সাত্তার মন্ডল, সাবেক উপাচার্য, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করবেন এ.এইচ.এম. হুমায়ুন কবীর, সাধারণ বাংলাদেশ সীড এসোসিয়েশন।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, নিবাহী চেয়ারম্যান, বিএআরসি ও মো. আবু জুবায়ের হুসেন বাবলু, মহাপরিচালক (বীজ উইং), কৃষি মন্ত্রণালয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বীজশিল্প বিকাশে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০জন বীজ ব্যবসায়ী ব্যক্তিবর্গদের মরনোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হবে।

সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন এম আনিস উদ দৌলা, সভাপতি, বাংলাদেশ সীড এসোসিয়েশন।

This post has already been read 1665 times!