Saturday 20th of April 2024
Home / অর্থ-শিল্প-বাণিজ্য / খুলনা খাদ্য বিভাগে শ্রমিক ঠিকাদার নিয়োগ টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগ

খুলনা খাদ্য বিভাগে শ্রমিক ঠিকাদার নিয়োগ টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগ

Published at সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২

ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা) : জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে শ্রম ও হস্তার্পণ ঠিকাদার নিয়োগের টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ঠিকাদাররা সমঅধিকার রক্ষার আবেদন জানিয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে উলে­খ করা হয়েছে জেলায় ৮টি এলএসডি ও দু’টি সিএসডি খাদ্য গুদাম রয়েছে। খাদ্য বিভাগ থেকে গত ২৫ জুলাই ঠিকাদার নিয়োগের লক্ষ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। দরপত্র জমাদানের শেষদিন ছিল গত ২২ আগস্ট। ওইদিন দরপত্র খোলা হয়। দরপত্র জমা পড়ে দুইশ’র বেশি। এই প্রক্রিয়া পাবলিক প্রক্রিউরমেন্ট এ্যাক্ট ২০০৬ ও পিপিআর ২০০৮ অনুযায়ী আহবান করা হলেও বাস্তবে সেই নীতি অনুসরণ করা হয়নি। বিধি মোতাবেক দরপত্রটি গ্রহণের তারিখ সংশোধিত বিজ্ঞপ্তির কারণে আরও তিনদিন পর ২৫ অক্টোবর দরপত্র গ্রহণের তারিখ নির্ধারণসহ সংযুক্ত বিধি মোতাবেক কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিধান ছিল। সংশোধিত দরপত্র বিজ্ঞপ্তি পাবলিক প্রকিউরমেন্ট এ্যাক্ট ২০০৬ ও পিপিআর ২০০৮এর বিধি ৯০ এর (ছ) (ঝ) ও ৯৪ এর (৯) এর (খ) এবং ৯৫ এর (২) (৩) (৬) অনুসরণ করা হয়নি।

অভিযোগে আরো উলে­খ করা হয় সিডিউলে উলে­খ রয়েছে হালনাগাদ আয়কর সনদ ২০২০-২১ অর্থ বছরের আয়কর সনদ দাখিল দিতে হবে। ২০২১-২২ এর সনদ দাখিল না করাকে দরপত্র বাতিলের কারণ হিসেবে বলছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক। জেলা দপ্তর থেকে দরপত্র সংক্রান্ত যে সংশোধনি জারি হয়েছে সেখানে এ ব্যাপারে কিছু উলে­খ নেই। অন্যদিকে ব্যাংক থেকে আর্থিক সচ্ছলতার সনদের ক্ষেত্রেও বিজ্ঞাপনে ত্র“টি আছে বলে উলে­খ করা হয়েছে লিখিত অভিযোগে।

আরো উল্লেখ করা হয়-আর্থিক দরপত্র বা চুড়ান্ত ঠিকাদারী অত্যন্ত গোপনীয় বিষয় হওয়া সত্তে¡ও দরপত্রে কোন কোন ঠিকাদার কোন কোন এলএসডি ও সিএসডি’র শ্রম ও হস্তার্পণ ঠিকাদারি কাজ পেয়েছে তা সকলেই জানে। এর মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়মের বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ বাবুল হোসেন বলেন, নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন এবং পিপিআর’র শর্ত মেনে ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি দরপত্র যাচাই-বাছাই করেছে। মূল্যায়ন কমিটি বাছাই সাপেক্ষে যারা যোগ্য হয়েছে তাদের নির্বাচন করেছে। একই সাথে সেটি পাস করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। অনেকেই বিষয়টি জানতে চেয়েছেন তবে পিপিআর বিধান অনুযায়ী কেউ যদি অযোগ্য হয় সেই কারণ জানাতে কমিটি বাধ্য নয়। এরপরও কারো আপত্তি থাকে সেটা আরসি ফুডের কাছে তারা আবেদন করতে পারেন-তিনি সেটি দেখবেন।

This post has already been read 1431 times!