শনিবার , জুলাই ২৭ ২০২৪

কেরাণীগঞ্জে ভারতীয় পচা মাংসের সিন্ডিকেট!

প্রতীকী ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকার কেরাণীগঞ্জ উপজেলার জিনজিরাতে ভারতীয় গরুর পচা মাংস পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে শাহনেওয়াজ হোসেন লাকী নামে কেরাণীগঞ্জের এক বাসিন্দার ফেসবুক স্ট্যাটাস ভাইরাল হয়েছে। এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে উপস্থিত দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এসি ল্যান্ড প্রমোথ রঞ্জন ঘটকের সাথে কথা হয় এগ্রিনিউজ২৪.কম এর। প্রমোথ রঞ্জন ঘটকের বক্তব্যের আগে আসুন দেখে নেই আলোচিত স্ট্যাটাসটি।

স্ট্যাটাসটি এখানে হুবহু প্রকাশ করা হলো-

“আমরা কয়েক বন্ধু আড্ডা দিয়ে বাসায় ফিরছিলাম। একটি রিক্সা আমার এক বন্ধুর পায়ে লাগিয়ে দিল। সে হাল্কা ব্যাথা পেয়েছে তাই আমরা সবাই আবার দাড়ালাম। কিন্তু কোথা থেকে যেন পচা গন্ধ আসছে !

লক্ষ্য করলাম পাশের একটি ভাড়াটিয়া বাসা থেকে গন্ধ আসছে (লছমানগঞ্জ হাজী ফরিদের ভাড়াটিয়া বাড়ী) দরজায় ধাকা দিলাম দেখি গন্ধ আরো বিকট।

আমার এক বন্ধু রুমি প্রশ্ন করল, এই পচা গন্ধ কিসের? কেউ জবাব দিল না ও তাদেরকে সন্দেহ হওয়াতে আমরা বাসায় ডুকলাম। ডুকে যা দেখলাম তাতে আমাদের চোখ কপালে! ঘর জুড়ে মাংস ! আবিস্কার করলাম সেই মাংস থেকেই আসছে পচা গন্ধ !! সেখানে ৪ জন লোক সেই পচা মাংসগুলো প্যাকেট করছে।

সেলিম প্রশ্ন করল, এইগুলি কিসের মাংস ??
উত্তরে এক লোক বললো, গরুর মাংস।

আবারো প্রশ্ন গরুর মাংস এইভাবে এইখানে খোলা কেন ?? আর এত গন্ধ কেন ? উত্তরে এল এইগুলো ভারত থেকে আনা হয়েছে। এইগুলো বিভিন্ন হোটেলে ২০০ টাকা কেজী দরে বিক্রি হয়।

আমাদের সন্দেহ প্রমাণিত হলো, হ্যা এরাই মরা গরু, বা কুকুর না অন্য কিছুর মাংসের (টেস্ট করলে বুঝা যাবে) নিয়ে কোন অবৈধ চক্র। সাথে সাথে আমরা তাদের আটকালাম ও মাননীয় জিঞ্জিরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাকু ভাইকে অবগত করলাম। তিনি এসে এই অবস্থা দেখে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় জানালেন। পুলিশ এসে তাদের চারজনকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে এবং ঘরগুলো তালা মেরে গেছেন।

সম্মানিত নির্বাহী অফিসার অমিত দেবনাথ ও ভূমি সহকারী অফিসার কামরুল সোহেল স্যার ও কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সম্মানিত সাংবাদিকগণের নিকট আবেদন থাকিবে এইগুলো কিসের মাংস, কোথা থেকে আগত, কোথায় কোথায় সাপ্লাই হয়, কারা জড়িত ইত্যাদি ব্যাপারগুলো নিজে প্রদর্শন করে, সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

কারণ স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।

আমরা কেরানীগঞ্জের মানুষ পচা মাংস খেয়ে হাসপায়ালে ভর্তি নয়, ভাল মাংস খেয়ে স্বাস্থ্যবান হতে চাই।”

দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এসি ল্যান্ড প্রমোথ রঞ্জন ঘটক এগ্রিনিউজ২৪.কম কে জানান, হ্যা এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে। মাংসগুলোকে জিঞ্জিরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাকুর হোসেন সাকু সাহেবের জিম্মায় রাখা হয়েছে এবং সেগুলোর একটি অংশ উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার মাধ্যমে ল্যাব টেস্টে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য জিঞ্জিরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাকুর হোসেন সাকুকে ফোন এবং ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।

This post has already been read 4071 times!

Check Also

ফিডের মান বৃদ্ধি ও উৎপাদন খরচ কমাতে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হচ্ছে প্যাটেনসে

খোরশেদ আলম জুয়েল (ব্যাংকক থেকে ফিরে) : উৎপাদনশীল একটি পণ্যের ক্ষেত্রে প্রধানত দুটি বিষয়কে গুরুত্ব …