শনিবার , জুলাই ২৭ ২০২৪

বাংলাদেশ ডাল রপ্তানির মতো অবস্থায় পৌঁছেছে -কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: আমাদের জন্য সহজ প্রোটিন ডালের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করছে সরকার। এক সময় কানাডা থেকে প্রচুর পরিমান মুশুর ডাল আমদানি করা হতো, এখন আমরা ডাল রপ্তানির মতো অবস্থা পৌঁছেছি। বাংলাদেশে ডালের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য উপকুলীয় এলাকায় ডাল ও ভুট্টা উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ হচ্ছে। নোয়াখালী ও লক্ষীপুর জেলায় পুষ্টিমান সমৃদ্ধ সয়াবিনের আবাদ হয়। সয়াবিনের আবাদ আরো বাড়াতে হবে। এছাড়াও দেশের চরাঞ্চলে বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা ও বরগুণাতে সয়াবিনের চাষ হচ্ছে। এছাড়া অঞ্চল ভিত্তিক নতুন নতুন ডালের জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক মন্ত্রণালয় তাঁর অফিসকক্ষে University of Western Australia Director Professor Dr.William Erskine এর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠকে এসব কথা বলেন। আগত প্রতিনিধিদল মূলত আমাদের দেশে ডাল নিয়ে গবেষণার কাজ করে। গবেষণার জন্য বছরে ৩ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশকে দিয়েছে তারা।

প্রতিনিধ বৃন্দ বলেন; বাংলাদেশের মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন ও আবাদ করতে হবে। দেশের উপকূলীয় এলাকা ছাড়া উত্তরাঞ্চলেও ডালের আবাদ করা যায়। আমরা পারস্পরিক সহযোগিতার মাধমে আমাদের গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

তাঁরা আরো বলেন, বাংলাদেশের গবেষণার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতির প্রয়োজন নাই বরং গবেষক ও বিজ্ঞানীদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। উদ্ভাবিত নতুন ডালের জাত কৃষকদের কাছে পৌঁছাতে হবে। সাতক্ষিরায় লবাণাক্ত সহিষ্ণ জাত আবাদ করা যায়।

মন্ত্রী বলেন, এক সময় দেশে মোট ডালের উৎপাদন হতো ২ থেকে ৩ লাখ মেট্রিক টন। এবছর উৎপাদন হয়েছে ৮ লাখ মেট্রিক টন, যেখানে শুধু পটুয়াখালী জেলায় উৎপন্ন হয়েছে ২-২.৫ লাখ মেট্রিক টন মুগ ডাল। আমরা মাসকালাই এর নতুন জাত উদ্ভাবন করেছি যা সহজ আবাদযোগ্য। ২০০৯ সালের আইলার আঘাতের ফলে দক্ষিণাঞ্চলের জন্য বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। ফলে আজ দক্ষিণাঞ্চলে ফসলের নিবিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন সেখানে এক ফসলের পরিবর্তে বছরে ৩টি ফসল হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ডাল আমিষের অন্যতম প্রধান উৎস। দরিদ্র মানুষের পুষ্টির অভাব পূরণে, তৃনভোজী প্রাণির স্বাস্থ্য সুরক্ষায়, মাটির উর্বরতা শক্তি ও জৈব পদার্থের পরিমাণ বৃদ্ধিতে ডাল জাতীয় ফসলের ভূমিকা অন্যতম। ডাল ফসলে প্রচুর পরিমান উদ্ভিজ্জ আমিষ পাওয়া যায়। প্রজাতিভেদে ডাল ফসলে আমিষের পরিমাণ ২০-৩০%।

প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন Dr. Eric Huttner, Australian Centre for International Agriculture Research; Dr. Richard James, Senior Scientist CSIRO Australia; Dr.M.G Neogi , Deputy Project Leader, University of Western Australia|

This post has already been read 1719 times!

Check Also

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২২৭ প্রজাতির আম মেলার উদ্বোধন

মো. আমিনুল ইসলাম (রাজশাহী) : গত ১১ জুন (মঙ্গলবার) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে রফতানিযোগ্য আম …