শুক্রবার , জুলাই ২৬ ২০২৪

কুষ্টিয়ার মীরপুরে ব্রি ধান-৪৮ কর্তনের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

মো. এমদাদুল হক: কুষ্টিয়া জেলার মীরপুর উপজেলার মশান, বারুইপাড়া ব্লকে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের আয়োজনে ব্রি ধান-৪৮ কর্তন উপলক্ষে এক মাঠ দিবস সোমবার (১৬ জুলাই) মীরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ব্লকে অনুষ্ঠিত হয়।

মীরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রমেশ চন্দ্র ঘোষ এর সভাপতিত্বে ধান কর্তন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ফকির মুহাম্মদ, উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার স্বপন কুমার সিংহ, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. গোলাম হোসেন, উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. ময়নুল ইসলামসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি।

মাঠ দিবসের শুরুতে অতিথিবৃন্দ কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের দেয়া ব্রি ধান-৪৮ প্লটের নির্ধারিত মাপের নমুনা শস্য কর্তন করে মাঠেই মাড়াই ঝাড়াই করে ফলন রেকর্ড করা হয়। এতে হেক্টর প্রতি ৩.৮৮ মে. টন ফলন পাওয়া যায়। এরপর মাঠেই এলাকার কৃষকদের উপস্থিতিতে ব্রি ধান-৪৮ এর রোপণ, পরিচর্যা রোগ ও পোকা দমন, কর্তন ইত্যাদি বিষয়ের উপর আধুনিক উৎপাদন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। আলোচনায় পরের মৌসুমে এ ধান আবাদে কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়।

প্রদর্শনী প্লটের চাষী শেরমত আলী বলেন, ধানটি আবাদে পানি কম লাগে, পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয় এবং আউশ মৌসুমে পরিচর্যা কম করতে হয়। ধানটি আবাদে অন্যান্য ধানের চেয়ে ফলন খুব বেশি হওয়ায় কৃষকদের প্রতি তিনি এ ধানটি আবাদের আহবান জানান।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রমেশ চন্দ্র ঘোষ জানান, ধানটি আবাদে তেমন কোনো সেচের দরকার হয়না। এতে কৃষকেরা অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হয়। এছাড়া ধানটির জীবন কাল সংক্ষিপ্ত হওয়ায় কৃষকেরা ধানটি কেটে সহজেই রোপা আমন করতে পারেন।

This post has already been read 2254 times!

Check Also

জিএমও নিয়ে প্রচলিত ধারণা ভুলের দাবী

নিজস্ব প্রতিবেদক: জিএমও নিয়ে প্রচলিত ধারণা ভুলের দাবী করেছেন একদল বিজ্ঞানী ও গবেষক। এ ব্যাপারে …